বিশ্ব ফুটবলের (World Football) অন্যতম সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) এক বিশেষ উপহার পাঠালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ( President of United States) ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) জন্য। জার্সিটি ছিল পর্তুগাল জাতীয় দলের ঐতিহ্যবাহী লাল রঙের, যার পেছনে লেখা ছিল ‘No. 7’। রোনাল্ডোর নিজস্ব জার্সি নম্বর। তবে শুধু নম্বরই নয়, জার্সিটির সঙ্গে ছিল একট ব্যক্তিগত বার্তাও: “To president Donald J. Trump, Playing for Peace।”
১৭ জুন কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনের সময় ট্রাম্পের হাতে তুলে দেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং পর্তুগালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা। উপহারটি পেয়ে খুশি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জার্সিটি দু’হাতে ধরে বলেন, “আমার ভালো লাগছে, শান্তির জন্য খেলা এটা চমৎকার।”
To President @realdonaldtrump.
Playing for peace. As a team. pic.twitter.com/iLGAmbmu0J
— António Costa (@eucopresident) June 16, 2025
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো , যিনি বর্তমানে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের হয়ে খেলছেন। ৪০ বছর বয়সেও এখনও জাতীয় দলের অন্যতম স্তম্ভ। তিনি ইতিমধ্যে পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ১৩৮ গোলের মালিক। সম্প্রতি তিনি পর্তুগালকে দ্বিতীয়বারের মতো ইউইএফএ নেশনস লিগ শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অসাধারণ ফর্ম এবং প্রতিশ্রুতিশীল শারীরিক ফিটনেসের জন্য অনেকেই আশা করছেন, রোনাল্ডো ২০২৬ সালে কানাডা, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রে যৌথভাবে আয়োজিত হতে যাওয়া ফিফা বিশ্বকাপে আবারও পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
রোনাল্ডো বরাবরই ক্রীড়াঙ্গনের বাইরেও মানবিকতা, শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রচারে অংশ নিয়ে আসছেন। তার এই ব্যক্তিগত বার্তায় ফুটে উঠেছে বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সহযোগিতার বার্তা। খেলাধুলা কেবল প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি বিশ্বকে একত্রিত করার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করতে পারে—এই ধারণাকেই যেন তুলে ধরেছেন তিনি।
এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চর্চার সৃষ্টি করেছে। একদিকে রোনাল্ডো ফুটবল নৈপুণ্য, অন্যদিকে তার এই শান্তির বার্তা দেওয়া অভিনব উপহার—দুই মিলে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি আবারো ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। খেলাধুলার প্রতি আগ্রহের কথা আগেও জানিয়েছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো উপহার তার রাজনৈতিক বার্তায় কোনো পরিবর্তন আনবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বিশ্বশান্তির বিষয়ে এই ছোট্ট বার্তাটি এক নতুন আলোচনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে।