এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি কলকাতা ফুটবল লিগ (CFL)। মরসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের অধিকাংশ ম্যাচ সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হলেও চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ আয়োজন ঘিরে দেখা দেয় ব্যাপক ধোঁয়াশা। হিসাব অনুযায়ী দেখলে টুর্নামেন্টের অন্যান্য দলগুলি তুলনায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল। এমনকি এই ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি মাত্র দল হিসেবে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেজন্য, অনেক আগে থেকেই প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ জয়ের অন্যতম দাবীদার হিসেবে সর্বাধিক বিবেচিত হয়ে আসছে সায়ন ব্যানার্জিদের দল। তবে এক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের শেষের দিকে এই টুর্নামেন্ট শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে সুপার সিক্সের ম্যাচ আয়োজন করা নিয়ে দেখা দিতে থাকে একাধিক সমস্যা। আসলে ডায়মন্ড হারবার এফসির মতো দল গুলি দ্বিতীয় ডিভিশন আইলিগের মতো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করায় স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সময়সূচি ঠিক করা নিয়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ধোঁয়াশা। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে সিএফএলের ম্যাচ গুলি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গত বছরের শেষের দিকে চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড শেষ করার পরিকল্পনা হলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি।
তবে এত সমস্যার পরে ও গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় সিএফএলের বাকি ম্যাচ গুলির সূচী প্রকাশ করে আইএফএ। সেই অনুযায়ী আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারি নৈহাটির বঙ্গিমাঞ্চল স্টেডিয়ামের পরিবর্তে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবার এফসির। তবে এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আরএফডিএল ম্যাচ। আসলে আগামী ১৩ তারিখ প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের নির্ধারক ম্যাচের পরেরদিন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের ম্যাচ খেলতে হবে ডায়মন্ড হারবার দলকে।
তারপর আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ফের দ্বিতীয় ডিভিশন আইলিগের ম্যাচ। এক্ষেত্রে সিনিয়র দলের বেশকিছু ফুটবলার আরএফডিএলে অংশগ্রহণ করায় টানা ম্যাচ খেলা যে সম্ভব নয় সেকথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ডায়মন্ড হারবার অফিসিয়ালের তরফে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে আদৌ দল মাঠে নামে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। তবে ডায়মন্ড হারবার দল না নামালে অনায়াসেই ওয়াক ওভার পেয়ে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মশাল ব্রিগেড।