গ্ৰীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর থেকেই দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল ক্লাব গুলি। কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল আইএসএলের অন্যান্য ফুটবল দল গুলির নাম। সময় এগোনোর সাথে সাথেই ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠেছিল মশাল ব্রিগেড। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ধীরে চলো নীতি গ্ৰহন করেছিল পড়শী ক্লাব তথা মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। উল্লেখ্য, গত কয়েক সিজন ধরেই সাফল্যের চরমে রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। গত মরসুমে আইএসএলের লিগ কাপ জয়ের পাশাপাশি লিগ শিল্ড ও জয় করেছিল মেরিনার্সরা।
সেই সুবাদে এবার ও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের ছাড়পত্র পেয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। গতবার খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব না হলেও এবার নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া হোসে মোলিনার ছেলেরা। এক্ষেত্রে গতবারের অধিকাংশ ফুটবলারদের উপরেই ভরসা রেখেছেন বাগান (Mohun Bagan) কোচ। জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে জেমি ম্যাকলারেন এবং আলবার্তো রদ্রিগেজের মতো ফুটবলাররা দলে থাকলেও আক্রমণভাগকে শক্তিশালী করতে একজন বিদেশি তারকার দিকে নজর ছিল মোহনবাগানের (Mohun Bagan)। প্রথমদিকে সেই নিয়ে খুব একটা কিছু জানা না গেলেও এবার উঠে এসেছে নয়া।
দেশের এক জনপ্রিয় মাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, কেরালা ব্লাস্টার্সের দাপুটে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান লুনার (Adrian Luna) দিকে বিশেষ নজর ছিল গতবারের আইএসএল জয়ীদের। হিসাব অনুযায়ী আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাবের। তবে এসিএল টায়ার টুয়ের কথা মাথায় রেখে বাড়তি ট্রান্সফার ফি দিয়ে তাঁকে পেতে আগ্ৰহী ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। সেইমতো কথাবার্তা ও নাকি এগোতে শুরু করেছিল প্রাথমিক স্তরে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ট্রান্সফার ফি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাবের তরফে আদ্রিয়ান লুনাকে (Adrian Luna) ছাড়ার ক্ষেত্রে নাকি বিরাট ট্রান্সফার ফি দাবি করায় পরবর্তীতে কিছুটা পিছিয়ে আসে সবুজ-মেরুন।
তারপর আর তাঁকে নিয়ে আগ্ৰহ দেখায়নি মোলিনার মোহনবাগান (Mohun Bagan)। অন্যদিকে, আক্রমণভাগে শক্তি বাড়াতে গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল রবসন রবিনহোর নাম। শোনা যাচ্ছে, কথাবার্তা ও নাকি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে সবুজ-মেরুন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো নয়া বিদেশি ফুটবলারের যোগদানের কথা ঘোষণা করে দেবে ময়দানের এই প্রধান।