ট্রফি যেন ক্লাবেই আসে, মোহনবাগান দিবসে ঠিক কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

মঙ্গলবার সকাল থেকেই মোহনবাগান দিবস উৎযাপনকে ঘিরে সরগরম সবুজ-মেরুন (Mohun Bagan) তাঁবু। পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনার পর বিকেলে প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে প্রীতি…

West Bengal Sports Minister Aroop Biswas Urges Mohun Bagan to Win Trophies and Join Kanyashree Cup on Mohun Bagan Day 2025

মঙ্গলবার সকাল থেকেই মোহনবাগান দিবস উৎযাপনকে ঘিরে সরগরম সবুজ-মেরুন (Mohun Bagan) তাঁবু। পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনার পর বিকেলে প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল ক্লাবের মাঠে। যা দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন বাগান সমর্থকদের একটা বিরাট অংশ। তারপর বিকেল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নানাবিধ সম্মানে সম্মানিত করা হয় একাধিক খেলোয়াড়দের। যা সহজেই মন কেড়েছে সকল অনুরাগীদের।

এই শুভ দিনে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। যেখানে উপস্থিত থেকে সবুজ-মেরুন কর্তাদের উদ্দেশ্য বিশেষ অনুরোধ রাখেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি বলেন, ” আগামী বছর কন্যাশ্রী কাপে মোহনবাগানের মেয়েদের দলকে দেখতে চাই। কারণ বাংলার মেয়েরা কিন্তু আজকে ভারতসেরা‌ হয়েছে। আজকে আমরা ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। হতে পারে বিরোধী দল ইস্টবেঙ্গল হয়েছে। কিন্তু মোহনবাগানকে কন্যাশ্রী কাপ খেলতে হবে। এটা আমার অনুরোধ।”

   

কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। অরূপ বিশ্বাস আরও অনুরোধ করেন, “আমি আজ বাংলার সমর্থক হয়েই বলছি ট্রফিটা জিতলে যেন মোহনবাগান ক্লাবেই আসে। এই অনুরোধ আমি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে রাখছি। ট্রফি যেন তিনদিন পর ক্লাবে না আসে। ট্রফি জিতলে ঢাক ঢোল বাজিয়ে আমরা যেন ক্লাবে আনতে পারি। এইটুকু অনুরোধ আমি মোহনবাগান ক্লাবের কাছে করছি।” তাঁর এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে খুশি করেছে আপামর বাগান জনতাকে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই মহিলা ফুটবলের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়ে আসছে পড়শী ক্লাব তথা ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব।

Advertisements

শেষ সিজনে কন্যাশ্রী কাপ জয় করে রাজ্যের সেরা দল হওয়ার পাশাপাশি অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের হাত ধরে ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মশাল কন্যারা। এবার মোহনবাগান দলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করলেন অরূপ বিশ্বাস। যারফলে হয়তো আগামী মরসুমে পুরুষ দলের পাশাপাশি মহিলা দলের ডার্বি ম্যাচের সাক্ষী থাকতে পারে কলকাতা ময়দান।