আইএসএলের সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পরবর্তী কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। যা নিয়ে অনেক আগে থেকেই ব্যাপক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু আসন্ন এই ম্যাচ আয়োজন করা নিয়েই এবার তৈরি হয়েছে সংশয়। বলাবাহুল্য , কলকাতা ডার্বি মানেই উত্তেজনার ভরপুর থাকে গোটা শহর। যা নিয়ে মেতে থাকে বাংলার সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষ। হাজার হাজার সমর্থক ভিড় করেন সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। তবে এই ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিন্তায় রেখেছিল পুলিশি নিরাপত্তা।
যারফলে গত কয়েকদিন আগেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বিশেষ মেইল করা হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে। আসলে সেই নির্ধারিত সময় যুবভারতীতে ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় গঙ্গাসাগর মেলা থাকার কারণে বিধাননগর পুলিশ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল যে, তাঁরা এই সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে পারবে না। এই মেলা উপলক্ষে রাজ্যের এই প্রান্তে যে ব্যাপক জন সমাগম ঘটবে তাতে বাবুঘাট সহ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। তাঁর জেরে সেই সময় মোতায়েন করতে হবে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী।
স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব দেখা দিতে পারে স্টেডিয়াম সংলগ্ন চত্বরে। তাই সবদিক মাথায় রেখেই গত সোমবার ডার্বি ম্যাচ স্থগিতের কথা জানিয়ে দেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু কলকাতার পরিবর্তে অন্য কোথাও এই ম্যাচ আয়োজন করা হবে কিনা সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। যারফলে অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন যে গতবারের মতো এবার ও হয়তো ভিন রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে এই হাইভোল্টেজ কলকাতা ডার্বি। সেই নিয়েই এবার মুখ খুললেন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ছাড়া ডার্বি আয়োজন সম্ভব নয়। আমরা এফএসডিএলকে জানিয়েছি। এখন ওদের বিচারাধীন। দেখা যাক কি নির্দেশ আসে। যদি তাঁরা দিন বদলের সম্মতি না জানায় তাহলে এই ম্যাচ অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে হবে।” পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে দেবাশিস দত্ত আরও বলেন, ” সরকার যাঁরা চালাচ্ছে কিংবা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সুবিধা অসুবিধা থাকতেই পারে। প্রশাসনের মনে হয়েছে সেই সময় গঙ্গাসাগর মেলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় সেটা তাঁরা জানিয়েছেন। আমরা আমাদের কাজ করেছি এফএসডিএলকে জানিয়েছি। তাঁরা সিদ্ধান্ত জানাবেন”।