ফিসু ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় মহেশের

নয়াদিল্লির কর্ণি সিং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিসু ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল পুরুষদের দলগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে উজ্জ্বল সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উমা…

Uma Mahesh stands on the podium, holding a gold medal in his hand

নয়াদিল্লির কর্ণি সিং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিসু ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল পুরুষদের দলগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে উজ্জ্বল সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উমা মহেশ (Uma Mahesh)। উমা এবং তার দল এই কঠিন প্রতিযোগিতায় নিজ দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে প্রতিপক্ষদের পরাজিত করেন এবং দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বর্ণপদক অর্জন করেন।

২০ বছর বয়সী এই তরুণ শ্যুটার, যিনি অলিম্পিক পদকজয়ী গগন নারাংের গঠনকৃত ‘গান ফর গ্লোরি’ একাডেমির সদস্য, ইতিমধ্যে তার ক্রীড়া জীবনে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এর আগে তিনি আইএসএসএফ ওয়ার্ল্ড কাপে দুটি স্বর্ণপদক এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও স্বর্ণপদক জিতেছেন। তার এই সাফল্যের কাহিনী শুধু দেশকে গর্বিত করেছে না, তার শহর বিজয়ওয়াডা এবং তার পরিবারকেও গর্বিত করেছে।

   

উমা মহেশের ক্রীড়া জীবনে তার পরিবার বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তার বাবা মাড্ডিনেনি রামা কৃষ্ণ, যিনি পেশায় একজন কন্ট্রাক্টর, তাকে শুটিংয়ে আগ্রহী করে তোলেন। নিউজে শুটিং প্রতিযোগিতার খবর দেখে তিনি অনুভব করেন যে, তার ছেলের জন্য এই ক্রীড়া একটি সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হতে পারে। উমার মা মাড্ডিনেনি মঞ্জুলাও সবসময় তার পাশে থেকেছেন এবং উমার উন্নতির জন্য সর্বদা উৎসাহিত করেছেন।

উমা বর্তমানে ‘গান ফর গ্লোরি’ একাডেমির ‘প্রজেক্ট লিপ’ প্রোগ্রামের সদস্য। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অ্যাথলেটদের শারীরিক, মানসিক এবং টেকনিক্যাল দিক থেকে পরিপূর্ণ উন্নতির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এই প্রোগ্রামটি তরুণ অ্যাথলেটদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জনের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। উমা বলেন, “আমার কোচ নেহা চাভান সবসময় আমার পাশে থেকে আমাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। গগন স্যার এবং ‘গান ফর গ্লোরি’ একাডেমির সহযোগিতায় আমি আমার দক্ষতাকে আরো শাণিত করতে সক্ষম হয়েছি।”

২০১২ সালের অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ পদকজয়ী গগন নারাং উমার এই সাফল্যে গর্বিত। তিনি বলেন, “আমরা গর্বিত যে উমার মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় আমাদের একাডেমিতে আছে, যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে গর্বিত করছে। উমার এই কৃতিত্ব তার কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতার প্রমাণ। ‘গান ফর গ্লোরি’ একাডেমির লক্ষ্য হলো এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করা এবং তাদের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনের দিকে নিয়ে যাওয়া।”

উমা মহেশের এই সাফল্য এবং তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দেশকে শুটিং খেলায় আরো উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।