এক সপ্তাহ আগে প্রিয়তমার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। এবার সেই আগুনই প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াল প্রেমিকের কাছে। এবছর প্যারিস অলিম্পিকের ম্যারাথনে অংশ নেওয়া কেনিয়ার অ্যাথলিট রেবেকা চেপতেগেইকে (Rebecca Cheptegei) পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল রেবেকার প্রেমিক ডিকসন এনডিয়েমার বিরুদ্ধে। প্রেমিকার শরীরে আগুন ধরাতে গিয়ে নিজেও কিছুটা অগ্নিদগ্ধ হয়ে যান এনডিয়েমা। রেবেকার সাথে তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুনে রেবেকার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। পরিচারিকাদের মাধ্যমে তাঁকে দ্রুত কেনিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও, শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে রেবেকার। বিগত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেবেকার মৃত্যু হয়। তবে আগুন ধরাতে গিয়ে ডিকসনের (Dickson Ndiema) শরীরেরও অনেক জায়গা পুড়ে গিয়েছিল। রেবেকার সাথে সাথে তাঁকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই গতকাল সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
টার্গেট সেট! এই ৫ ক্রিকেটারের জন্য ঝাঁপাতে পারে KKR
এবছর প্যারিস অলিম্পিক্সে মহিলাদের ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন রেবেকা। তবে সেখানে খুব একটা ভালো সাফল্য পাননি তিনি। ৪৪তম স্থানে শেষ করেন ৩৩বছর বয়সী এই অ্যাথলিট। রেবেকার জন্ম উগান্ডায়। তবে অনুশীলন, অলিম্পিকের প্রস্তুতি সমস্ত মিলিয়ে কেনিয়াতেই থাকতেন তিনি। অলিম্পিক শেষে সেখানেই ফিরে এসেছিলেন রেবেকা। তবে তারপরই ঘটে যায় অঘটন।
কেনিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,যে জমিতে তাঁদের বাড়ি, সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় যুগলের মধ্যে।বিগত রবিবার সকালেও গির্জায় গিয়ে উপাসনা করেন রেবেকা। ফিরে আসার পরই বাকবিতণ্ডা আরো বাড়ে।এরপরই হঠাৎ প্রেমিকার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ডিকসন। তবে সেই আগুনে নিজেও খানিকটা ঝলসে গিয়েছিলেন। আর অগ্নিদগ্ধ হয়েই মৃত্যু হল দু’জনেরই।
অঘটনের পর অঘটন, হারল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে কেনিয়াতে বেশ কিছুমাস ধরেই মহিলাদের ওপর গার্হস্থ্য অভিযোগের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। কেনিয়ার অ্যাথলিটের মৃত্যু প্রশাসনের দুরবস্থার এই ছবি আরো বেশি করে নিন্দায় ফেলল প্রশাসনকে। রেবেকাকে (Rebecca Cheptegei) সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যারিস অলিম্পিক কমিটির মেম্বাররা। এদিন প্যারিসের মেয়র তাঁর এক বিবৃতিতে বলেন, “প্যারিস কখনও রেবেকার কথা ভুলে যাবে না। আমরা শহরের একটি ক্রীড়াঙ্গন রেবেকার নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে ওঁর স্মৃতি এবং মর্মান্তিক পরিণতির কথা আমরা সব সময় মনে রাখতে পারি। আশা করি, এই উদ্যোগ নারী-পুরুষের সমানাধিকারের বার্তাকে আরও শক্তিশালী করবে।’’