Transfer Window: নতুন মরসুমের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিলনা শিলং লাজং এফসির। প্রথম ম্যাচেই আটকে যেতে হয়েছিল চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে। তারপরের ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। পরাজিত হতে হয় ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের কাছে। পরবর্তীতে রাজস্থান ইউনাইটেডকে পরাজিত করে আইলিগের প্রথম জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। যদিও সেটা বজায় থাকেনি বেশিদিন। পরবর্তীতে ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই পিছিয়ে পড়তে হয়েছে জোসে হেভিয়ার দলকে। বর্তমানে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে শিলং লাজং এফসি। সেই নিয়ে যদিও খুব একটা খুশি নয় ম্যানেজমেন্ট।
এক্ষেত্রে মূলত শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে দলের মধ্যে বেশকিছু বদল আনার পরিকল্পনা ছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাবের। সেইমতো বেশকিছু ফুটবলারদের দিকে ও নজর ছিল আইলিগের এই ফুটবল ক্লাবের। পাশাপাশি নিজেদের দলের বেশকিছু ফুটবলারদের ও লোনে অন্যত্র পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল ম্যানেজমেন্টের। সেই অনুযায়ী গত কয়েক সপ্তাহে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক নাম। তবে এসবের মাঝেই উঠে আসতে শুরু করেছিল এক নয়া তথ্য। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, এই উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে লোন ডিলের মধ্যে দিয়ে এক ভারতীয় গোলরক্ষককে দলে টানতে মরিয়া লাজং দল।
তিনি নিখিল ডেকা। চলতি ফুটবল মরসুমের শুরুতে বারাণসীর ইন্টার কাশী ফুটবল দল থেকে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগদান করেছিলেন এই অসমীয়া গোলরক্ষক। এখনও পর্যন্ত ডুরান্ড কাপেই সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র একটি ম্যাচে। সেখানে একটি ক্লিনশিট ও ছিল এই তারকার। পরবর্তীতে আর সেভাবে সুযোগ পাননি নিখিল। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে অন্যত্র পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল সাদা-কালো শিবিরের। হিসাব অনুযায়ী আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের চুক্তি থাকলেও তাঁকে নিতে আগ্ৰহ প্রকাশ করে একাধিক ফুটবল ক্লাব।
সেক্ষেত্রে বাকিদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ছিল শিলং লাজং এফসি। সব ঠিকঠাক থাকলে বাকি মরসুমের জন্য আইলিগের এই ফুটবল ক্লাবের জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে পারে এই ফুটবলারকে। যদিও এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয় গোটা বিষয়টি।