jeet win

“বিজেপিতে যোগ দিয়ে… ” ফাঁস করলেন ৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের তৃণমূল সাংসদ

বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর পরিবারের থেকে বিতাড়িত হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ (TMC MP) কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে…

TMC MP Kirti Azad Said on BJP from TMC Rally

বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর পরিবারের থেকে বিতাড়িত হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ (TMC MP) কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) তৃণমূলের কর্মিসভায় (TMC Rally) উপস্থিত হয়ে তিনি একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কীর্তি আজাদ, যিনি ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সাংসদ। এদিন তিনি নেতাজি ইন্ডোরে উপস্থিত তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমার চেয়ে ভালো বিজেপিকে কেউ চেনে না।”

কীর্তি আজাদ বলেন, “কর্মীদের ছাড়া কোনো সংস্থা চলতে পারে না। আমাদের শিরায় যে রক্ত বয়ে চলেছে, সেটি আমাদের কর্মীরাই। আমাদের হৃদয় হচ্ছে দল। যতক্ষণ রক্ত সঞ্চালিত হচ্ছে, কর্মী সংখ্যা বাড়ছে, ততদিন দল চলতে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলা বলছি, তবে আস্তে আস্তে বলছি। নিখুঁত হতে পারিনি, তাই হিন্দিতেই কথা বলব।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দলীয় কর্মীদের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।

   

তবে কীর্তি আজাদের মন্তব্যের বিশেষ গুরুত্ব ছিল তার বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি জানান, ১৯৯৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তার বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। কীর্তি আজাদ বলেন, “আমার বাবা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন, কারণ তিনি বলেছিলেন, ‘এই লোকগুলো ইংরেজদের মন জুগিয়ে চলত, তাদের বিশ্বাস করা যাবে না।'”

কীর্তি আজাদ ১৯৯৯ সালের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ হওয়ার কথা উল্লেখ করে জানান, তখন থেকেই তার মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিনি বলেন, “মমতা দিদি যখন ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘কীর্তি, তুমি আর তোমার বাবা সম্মান পাচ্ছ না। আমাদের দলে এসো, সম্মান পাবে।'” এই কথার পর, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “আজ সত্যিই দিদি, আপনি আমাকে সম্মান দিয়েছেন।”

Advertisements

কীর্তি আজাদ আরও জানান, গত বছর ২ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী মারা যান এবং তার অন্ত্যেষ্টি দুর্গাপুরে দামোদরের ঘাটে হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমার অন্ত্যেষ্টি ওখানেই হবে, কারণ দুর্গাপুর-বর্ধমানের মানুষ আমাকে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়েছেন।”

শেষে, কীর্তি আজাদ আরও বলেন, “দিদির কথা অনেক দিন শুনিনি। দিদি অনেক দিন ধমক দেননি। একটু বকে দিন। যদি কোনো হিন্দিভাষী জায়গায় যেতে হয়, তবে আমি সব সময় প্রস্তুত।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি আবারও তার দলের প্রতি নিজের দৃঢ় নিষ্ঠা এবং অনুগত মনোভাব প্রকাশ করেন। এই মন্তব্যগুলি কীর্তি আজাদের রাজনৈতিক জীবনের এক নয়া অধ্যায়কে তুলে ধরে। তিনি বিজেপিতে যোগদান থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া এবং তার পারিবারিক জীবনের নানা দিককে সামনে এনে, বাংলার রাজনীতিতে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।