স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পরিচালক গ্রেম স্মিথ করোনা কালে চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। ভারতীয় দল ডিসেম্বর ২০২১ থেকে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন টেস্ট, তিন ওয়ানডে এবং চারটি টি -টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে।
গত বছরের নভেম্বরে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে অস্বীকার করে। ফলে সিএসএ’কে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এরপর অস্ট্রেলিয়া তিনটি টেস্টের জন্য সিরিজে খেলতে অস্বীকার করে। এই কারণে স্মিথ মনে করেন, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ভারত সফর একটি বড় ব্যাপার।
করোনা সংক্রমণ কালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো সফল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ভারতীয় দলের যাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস করেন গ্রেম স্মিথ। স্মিথের বিশ্বাস, দর্শকদের উপস্থিতি এমন পরিস্থিতিতে একটি দর্শনীয় সিরিজ তুলে ধরবে এবং আশা করা হচ্ছে এর ফলে সিএসকে’কে অর্থাৎ ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে আর্থিক ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের বয়ানে উঠে এসেছে, “এই বছরের শেষে আমাদের এখানে ভারত সফর একটি বড় সফর হতে চলেছে। এটা শুধু ক্রিকেটের দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, যেখানে সময়ের সাথে সাথে তাদের ফলাফল দেশের মাটিতেও উত্তেজনাপূর্ণ হয়েছে, যা ভারতীয় দলের জন্য দারুণ। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনও দিনই সিরিজ জিততে পারেনি এবং এই বিষয়টি টেস্ট সিরিজের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।” তিনি আরও বলেন, “এটি সিএসএ’র জন্য একটি বড় সিরিজ, যা চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে নিজেদের পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান ও বোর্ডের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এই সিরিজের জন্য দর্শকদের মাঠমুখী করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা জারী রয়েছি।” ভারত এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল জয়ের আশা করতে পারে, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশের মাটিতে ভারতীয় দলের দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন নিয়ে গ্রেম স্মিথ বলেন, তিনি দৃঢ়প্রতিঞ্জ বছরের শেষে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ফিরে আসতে কোনও বাধা থাকবে না। তিনি মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গনটিকাকরণের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।
স্মিথ বলেন, “আমি সেমিনারের প্রথমদিকের কিছু ভিডিও দেখেছি এবং পুরো স্টেডিয়াম, শক্তি এবং বর্তমানে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা দেখে আমরা বছরের শেষে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে চাই ।” আমরা মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং আশা করছি বছরের শেষ নাগাদ দর্শকরা স্টেডিয়ামে ফিরে আসবে।
ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সিরিজ খেলে গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ম্যাচ ক্লোজড ডোর অর্থাৎ দর্শকশূন্য খেলা হয়েছিল এবং দর্শকদের অনুমতি দেওয়া ম্যাচের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। তাই সব মিলিয়ে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর যদি সঠিক কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে এগিয়ে যায় এবং মাঠে বল গড়ায় তাহলে তা ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের কাছে করোনা কালে সঞ্জীবনী সুধা হতে চলেছে।