স্পোর্টস ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকের পর থেকেই সোনার ছেলে নিরাজ চোপড়াকে (Neeraj Chopra) নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার একটি অনলাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে অলিম্পিকে নীরাজ চোপরা ব্যবহার করা জাভলিন নিলামে ওঠে। দেড় কোটি টাকা দাম ওঠে সেই জাভলিনের।
নিরাজ চোপড়ার জাভলিন ছাড়াও ওই নিলামে আরো অনেক দুর্মূল্য জিনিস উপস্থাপন করা হয়েছিল। উপস্থাপিত সব সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর পেয়েছে একটি কাঠের গণেশ (১১৭ টি বিড)। এছাড়াও ছিল পুনের মেট্রো লাইনের একটি স্মারক যা ১০৪ টি বিড পেয়েছে এবং বিজয় শিখার একটি স্মারক যা ৯৮ টি দর পেয়েছে।
চোপড়ার স্বর্ণজয়ী জ্যাভলিনের কাছাকাছি মূল্যের দিক থেকে যা সর্বোচ্চ দর পেয়েছিল, তা হল ভবানী দেবীর অটোগ্রাফ করা বেড়া (১.২৫ কোটি টাকা), সুমিত এন্টিলের জাভলিন (১.০০২ কোটি টাকা), টোকিও ২০২০ প্যারালিম্পিকের স্বাক্ষরিত অঙ্গভাস্ত্র কন্টিনজেন্ট (১ কোটি রুপি) এবং লাভলিনা বুড়গোঁহাইয়ের বক্সিং গ্লাভস (৯১ লাখ টাকা)।
ই-নিলামের এই রাউন্ডের উল্লেখযোগ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পদক জয়ী টোকিও ২০২০ প্যারালিম্পিক গেমস এবং টোকিও ২০২০ অলিম্পিক গেমসের ক্রীড়া স্মারক; অযোধ্যা রাম মন্দিরের মডেল; বারাণসীর রুদ্রাক্ষ মিলনায়তন এবং অন্যান্য অনেক মূল্যবান এবং আকর্ষণীয় সংগ্রহ। ই-নিলামে, ১৩৪৮ টি স্মারক রাখা হয়েছিল নিলামের জন্য এবং প্রায় ৮৬০০ টি বিড পেয়েছিল এসব সামগ্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া উপহার ও স্মারকগুলির জন্য তৃতীয় দফার ই-নিলাম ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ই -নিলামের অর্থ নমামি গাঙ্গে মিশনে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
শেষ এই ধরনের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে। ২৭৭০ টি বস্তু নিলামে প্রস্তুত করা হয়েছিল যার মধ্যে ছিল মধ্যে ছিল পেইন্টিং, ভাস্কর্য, শাল, জ্যাকেট এবং ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র। সেই টাকাও নমামি গঙ্গে মিশনে দান করা হয়েছিল।