গতবারের সুপার কাপের (Super Cup 2025) চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। লাল-হলুদ ব্রিগেড এবারও খেতাব ধরে রাখতে মরিয়া। আইএসএলের ব্যর্থতার ছায়া মুছে ফেলে সুপার কাপ জিতে এশিয়ার মঞ্চে (Asian Slot) প্রতিনিধিত্ব করতে মরিয়া তারা । স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোর নেতৃত্বে নক-আউট টুর্নামেন্টে প্রথম দিনেই মাঠে নামছে দল। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। তবে, মোহনবাগান (Mohun Bagan SG) প্রথম ম্যাচে ওয়াকওভার পাওয়ায় বদল হয়েছে সূচিতে । বিকেল সাড়ে চারটের পরিবর্তে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ শুরু হবে রাত আটটায়।
সুপার কাপে ছয়জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর নিয়ম থাকলেও মশাল ব্রিগেডের সামনে রয়েছে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর পর ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেইটন সিলভাকে বিদায় জানিয়েছে ক্লাব। গতবার মহানদীর তীরে সুপার কাপ জয়ে ক্লেইটনের ভূমিকা ছিল অসামান্য। কিন্তু এই বর্ষীয়ান ফুটবলার এখন দলের বাইরে। এছাড়া, মাঝমাঠের ভরসা সাউল ক্রেসপোও প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত। এমআরআই রিপোর্টে বড় কোনো চোট না থাকলেও তাকে অনুশীলনে ঝুঁকি নেওয়ানো হয়নি। মরসুমের অধিকাংশ সময় চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে এই স্প্যানিশ ফুটবলারকে। অতিরিক্ত চোটপ্রবণ এই খেলোয়াড় নিয়ে দলের থিঙ্কট্যাঙ্ক মোটেও খুশি নয়। ফলে, অস্কার ব্রুজোকে মাত্র চারজন বিদেশি নিয়ে দল সাজাতে হতে পারে।
আইএসএলে এই দুই দল দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল। কোচিতে কেরালা ব্লাস্টার্স জিতলেও যুবভারতীতে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে আরও একবার টেক্কা দিতে মরিয়া অস্কারের দল। অনুশীলনে ইঙ্গিত মিলেছে, প্রয়োজনে ৩-৫-২ ফর্মেশনে দল সাজাতে পারেন এই স্প্যানিশ কোচ। আনোয়ার আলি এবং হেক্টর পুরোপুরি ফিট। ফরোয়ার্ডে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস এবং মেসি বৌলিকে একসঙ্গে খেলিয়ে গোলের জোয়ার তুলতে চান অস্কার। অন্যদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্স পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামছে। নোয়া, পেফরা, লুনা, গিমিনেজের মতো তারকারা তাদের শক্তিশালী লাইনআপে রয়েছে।
সুপার কাপের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফয়সালা না হলে সরাসরি টাই-ব্রেকারে যাওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের কৌশল হবে গোলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ নিজেদের দখলে রাখা। ক্লেইটনের অনুপস্থিতি এবং ক্রেসপোর অনিশ্চয়তা দলের জন্য বড় ধাক্কা হলেও অস্কারের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং তরুণ ভারতীয় খেলোয়াড়দের উপর ভরসা রাখতে হবে। বিষ্ণু, গিলের মতো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ হবে।
কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি লাল-হলুদ শিবিরের জন্য কেবল একটি খেলা নয়, এটি তাদের মরসুমের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লড়াই। আইএসএলের ব্যর্থতা ভুলে এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া লাল-হলুদ শিবির। কোচ অস্কার ব্রুজোর কৌশল এবং খেলোয়াড়দের মাঠের লড়াইয়ের ওপর নির্ভর করছে এই ম্যাচের ফলাফল। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মশাল বাহিনীর সমর্থকরা তাদের দলের জয়ের প্রত্যাশায় মুখিয়ে রয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের এই লড়াই শুধু খেতাব ধরে রাখার নয়, এটি তাদের ঐতিহ্য ও সমর্থকদের আবেগের প্রতিনিধিত্ব। সুপার কাপে প্রথম ধাপে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে শক্তিশালী শুরু করতে চায় লাল-হলুদ ব্রিগেড।