চিয়াং মাইয়ের মাঠে যেন নতুন করে শুরু হল সঙ্গীতা বসফোরের (Sangita Basfore) বিশ্বকাপের স্বপ্ন। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ (Indian Football Team) কোয়ালিফায়ারে ভারতের ১৩-০ ব্যবধানে জয় যেন শুধুই এক ম্যাচ নয়, বরং একটা বড় যাত্রার শুরু। আর সেই যাত্রার মূল লক্ষ্য ব্রাজিল ২০২৭ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ (FIFA Womens World Cup Brazil 2027)।
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সঙ্গীতা বসফোরে জানান, “আমাদের টার্গেট শুধু এশিয়ান কাপ নয়, আমরা বিশ্বকাপে খেলতে চাই। এই যোগ্যতা অর্জন যেন বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার মনে হচ্ছে। আমাদের সবার স্বপ্ন ব্রাজিল যাওয়ার।”
মঙ্গোলিয়ার (Indian Football Team) বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল ভারত। ম্যাচের মাত্র আট মিনিটের মাথায় সঙ্গীতার হেড থেকে আসে প্রথম গোল। সেই প্রসঙ্গে বাংলার ফুটবলার জানিয়েছেন, “ওয়ার্ম-আপের সময় থেকেই মনে হচ্ছিল গোল করব, আর ঠিক তাই হল। গোল করার পর সঙ্গে সঙ্গে সৌমকে ধন্যবাদ জানাই।”
কোচ ক্রিসপিন ছেত্রীর নির্দেশ ছিল প্রতিটি গোল একসঙ্গে উদযাপন করতে হবে। সঙ্গীতার কথায়, “গোল করার পর সবাই মিলে উদযাপন করলে একটা টিম বন্ডিং তৈরি হয়। সেটাই আমাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে সাহায্য করবে।”
বঙ্গ তনয়ার সফরটা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারে অভিষেকের মাধ্যমে(Indian Football Team)। আজ তিনি জাতীয় দলের অন্যতম অভিজ্ঞ মুখ, যার ঝুলিতে রয়েছে ৬৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বর্তমান দলে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন কেবল গ্রেস ডাংমেই (৮৬টি ম্যাচ)।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বললেন, “আজকের জুনিয়রদের দেখে আমার নিজের প্রথম দিককার দিনগুলো মনে পড়ে যায়। সেসময় সিনিয়দের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এখনকার জুনিয়ররা অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে জাতীয় দলে আসে। আইডব্লিউএল বা জুনিয়র টুর্নামেন্টের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।”
তবে এই প্রস্তুতি সত্ত্বেও দল এক এবং অভিন্ন, জানালেন সঙ্গীতা। “এখানে কোনও সিনিয়র-জুনিয়রের ফারাক নেই। সবাই একসঙ্গে কাজ করি, একসঙ্গে খেলি।”
আপনার পেনশন প্ল্যান কি সঠিক পথে? জানুন EPF ও NPS-এর পার্থক্য
তাঁর কেরিয়ারে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের সোনা থাকলেও সবচেয়ে বড় স্বপ্ন এখনও অপূর্ণ(Indian Football Team)। ২০২২ সালে ভারতের ঘরের মাঠে হওয়া এশিয়ান কাপে তিনি ছিলেন না। তিন মাস আগে ACL ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছিলেন সুইডেন সফরে এক প্রীতি ম্যাচে। সেই অনুপস্থিতি আজও তাঁর মনে ব্যথা দেয়।
এশিয়ান কাপে সেরা ছয়টি দলই পাবে ২০২৭ বিশ্বকাপের টিকিট। তাই আপাতত লক্ষ্য, থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূল এশিয়ান কাপে জায়গা নিশ্চিত করা। ভারত পরবর্তী ম্যাচে খেলবে তিমুর লেস্তের (২৯ জুন), ইরাকের (২ জুলাই) ও থাইল্যান্ডের (৫ জুলাই) বিরুদ্ধে।
