গতকাল ব্যাপক জাঁকজমক করে কন্যাশ্রী কাপের (Kanyashree Cup) সূচনা ঘটেছে। যেখানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী সহ উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত। চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী সহ কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানের কর্মকর্তারা।
পূর্ব নির্ধারিত সূচী মেনেই গতকাল তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স। প্রথমে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গোটা টুর্নামেন্টের সূচনা করা হয়। বলাবাহুল্য, গতবারের ট্রফি জয়ের পর এবারের এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ও নিজেদের পুরোনো পারফরম্যান্স ধরে রাখে লাল-হলুদের মহিলা ব্রিগেড।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে মোট ১১-১ গোলে পরাজিত করে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় দশ মিনিটের ও কিছুটা কম সময়ের ব্যবধানে নিজের হ্যাট্রিক তুলে নেন তুলসী হেমব্রম।সেইসাথে জোড়া গোল পান সাজিদা খাতুন, সুলঞ্জনা রাউল ও সোনালী মন্ডল। পাশাপাশি একটি করে গোল পান সন্ধ্যা মাইতি ও সুস্মিতা বর্ধন।
তবে সকলের নজর কেড়েছেন তুলসী হেমব্রম ও সুলঞ্জনা রাউল। বলাবাহুল্য, শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটে ম্যাচের ক্ষেত্রেই নিজের হ্যাট্রিক তুলে নিয়েছেন তুলসী হেমব্রম। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় বিষয় সকলের কাছে। পাশাপাশি গতবারের এই কাপ টুর্নামেন্টে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখানেই এবার শুরু করলেন সুলঞ্জনা।
আগের বছর গোটা টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুলঞ্জনা রাউল। এবারও ঠিক এক ছবি অনেকটাই। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় হলেন ভারতীয় দলের এই ফুটবলার। তবে সব থেকে অবাক করা বিষয় হল, ম্যাচের সেরা হয়েও সেরকম কোনো পুরষ্কার মূল্য পাননি এই মহিলা ফুটবলার। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন সকলেই ।