জুনের প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে ভারতীয় ফুটবল দল। সেই ম্যাচের কয়েকদিন পরেই রয়েছে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। যেখানে লড়াই করতে হবে হংকংয়ে সঙ্গে। বছর কয়েক আগে সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় আসলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন মানোলো মার্কুয়েজ। তার মধ্যেই গত মাসে শেষ হয়েছে ক্লাব ফুটবল মরসুম। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকটি দলের থেকেই ফুটবলারদের নির্বাচিত করে সপ্তাহ কয়েক আগে থেকেই কলকাতার বুকে প্রস্তুতি শিবির শুরু করেছিলেন কোচ।
তবে শুধুমাত্র বল পায়ে অনুশীলন নয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী থাইল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতীয় ফুটবল দলের। যার মধ্যে বাংলার সন্তোষ জয়ী ফুটবল দলের পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা দলের কথা উঠে আসতে শুরু করেছিল ব্যাপকভাবে। সেটাই চূড়ান্ত হয়েছে শেষ পর্যন্ত। গত সোমবার রাজারহাটের সেন্টার ফর এক্সিলেন্সের বুকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল জাতীয় দল। তবে জয় আসলেও ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক প্রশ্ন। সেই সমস্ত কিছু সঙ্গে নিয়েই মঙ্গলবার বিকেলে জেলা দলের সঙ্গে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামে সুনীল (Sunil Chhetri) ব্রিগেড।
সম্পূর্ণ সময় শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় পেয়েছে মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা। এদিন প্রথমেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। তাঁর গোল নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল সতীর্থদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন মনিপুরের দুই তারকা ফুটবলার। উদান্তা সিং এবং চিংলেসানা সিং। বলাবাহুল্য, এই দুই ফুটবলারের দৌলতেই আরো দুটি গোল তুলে নেয় ব্লু-টাইগার্স। শেষ পর্যন্ত সেই তিন গোলেই আসে জয়। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ভারতীয় ব্রিগেড।
সেখানেও জয়ের ধারা বজায় রেখেই এএফসির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে চাইবেন মানোলো। গত মার্চ মাসে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলেছিল ভারত। যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষে। সেই সমস্যা কাটিয়ে এবার জয় চাইছেন সকলে।