এবারের ফুটবল মরশুমের শুরুতে দলের কোচ সুজাতা করের হাত ধরে অপরাজিত হিসেবে কন্যাশ্রী কাপ জেতে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। যা দেখে খুশি হয় সকলেই। পরবর্তীতে আসে সেই সুবর্ন সুযোগ। যেখানে বাংলার প্রথম দল হিসেবে জাতীয় লিগ খেলার ছাড়পত্র পায় মশাল কন্যারা।
কিন্তু লিগ শুরু হওয়ার আগে বেশকিছু কারন দেখিয়ে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা শোনা যায় কন্যাশ্রী কাপ জয়ী এই কোচের থেকে। যা শুনে হতবাক ছিল সকলেই। যদিও শেষ পর্যন্ত ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে গলে যায় বরফ। এরফলে, নিজের পদত্যাগ পত্র ফিরিয়ে নিয়ে জাতীয় লিগ খেলতে দলের সাথে আমেদাবাদ উড়ে যান সুজাতা। কিন্তু পরবর্তীতে আবার দেখা দেয় সমস্যা।
জাতীয় লিগ চলাকালীন লাল-হলুদ প্রতিনিধির তরফ থেকে নাকি একাধিক অপমানিত হতে হয় সুজাতা কে। যারফলে, চলতি মে মাসের শুরুর দিকেই ফের নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসার ভাবনা নিয়ে বিশেষ মেইল পাঠান সুজাতা। যা এক কথায় অবাক করার মতো বিষয়। এবারের এই লিগের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি কলকাতার এই প্রধানের। প্রথমেই গোকুলামের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাদের। কিন্তু সময় যতো এগিয়েছে পুরোনো ছন্দে ফিরেছে গোটা দল। কাহানি থেকে শুরু করে মাতা রুক্মিনী ও মুম্বাই নাইটসের মতো শক্তিশালী দল কে পরাজিত করেছে অতি সহজেই। এমনকি গ্রুপের শেষ ম্যাচে হোপস এফসি কে ১-০ গোলে পরাজিত করে টুর্নামেন্টর কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় লাল-হলুদ।
কিন্তু কোচের পদত্যাগ যে নিঃসন্দেহে দলের উপর প্রভাব ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ক্লাব ও ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে টুর্নামেন্ট পর্যন্ত দলের দায়িত্ব সামাল দেওয়ার অনুরোধ করা হয় সুজাতা কে। সেইমতো দায়িত্ব থাকলেও কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
তারপর আর নাকি যোগাযোগ করা হয়নি সুজাতা করের সঙ্গে। তাই আসন্ন আইএফএ শিল্ডে মহিলা দলের দায়িত্বে হয়ত থাকবেন না ময়দানের এই সফল কোচ। যতদূর শোনা যাচ্ছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সার্দান সমিতি দলের সহকারী কোচ হতে পারেন সুজাতা। তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি কোনো কিছুই।


