গত কয়েক মরসুম ধরেই অনবদ্য পারফরম্যান্স করে আসছেন শুভাশিস বসু (Subhasish Bose)। দলের রক্ষণভাগ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এই বাঙালি ফুটবলার। প্রীতম কোটাল দল ছাড়ার পর থেকেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giant) অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামাল দিয়ে আসছেন এই লেফট ব্যাক। তাঁর তত্ত্বাবধানেই গত সিজনে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শিল্ড জয় করেছিল মোহনবাগান। সেবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে লিগ কাপ হাতছাড়া হলেও এবার মিটে গিয়েছে সেই আফশোস। অনবদ্য পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে এবারও শিল্ড জয় করেছে সবুজ-মেরুন।
Also Read | ফাইনাল জিতে দলকে এএফসির মঞ্চে নিয়ে যেতে চান জামিল
তারপর সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়েই শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে এসেছ লিগ ট্রফি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন শুভাশিস বসু। শুধুমাত্র দলের রক্ষণভাগ সামাল দেওয়াই নয়, একাধিকবার তাঁর করা গোলেই সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। তাঁর এই অবতপূর্ব পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকেই। এছাড়াও জাতীয় দলের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকেছে এই বাগান অধিনায়কের। যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন তাই তারকা। সবদিক খতিয়ে দেখেই এবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিচারে বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন শুভাশিস বসু।
Also Read | মুম্বই সিটি এফসিকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট নিকোলাওসের
সেই নিয়ে সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা। এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের গোল্ডেন বল হাতছাড়া হলেও এই অভূতপূর্ব খেতাব জয় নিয়ে যথেষ্ট খুশি এই ভারতীয় লেফট ব্যাক। কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালের আগের দিন রাতে ভুবনেশ্বরের বুকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এআইএফএফ এর এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখানেই পুরষ্কৃত হন শুভাশিস বসু। এই সম্মানে সম্মানিত হওয়ার পর তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ” এআইএফএফ এর বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত হওয়াটা আমার কাছে বিরাট বড় সম্মানের। এই সিজনটা যথেষ্ট কঠিন ছিল, তবে আমরা একসাথে অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমরা আইএসএলের লিগ শিল্ডের পাশাপাশি লিগ কাপ জয় করেছি।”
Also Read | ক্লাব সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বিবৃতি জারি সবুজ-মেরুনের
বাগান অধিনায়ক আর ও বলেন, “আমি আমার সকল সতীর্থ বন্ধুদের পাশাপাশি সকল কোচদের পাশাপাশি সকল সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সমর্থকরা আমাদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের জন্যই সবকিছু। আমরা এবার অভূতপূর্ব একটি মরসুম শেষ করেছি। সমর্থকরা ছাড়া এটা সম্ভব হত না। সেই সাথে আমি আমার পরিবারের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যারা আমার পাশে থেকেছে। আমার উপর বিশ্বাস রেখেছে। আবার ও সবাইকে ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।”