আহালের কাছে বাগানের পরাজয় প্রসঙ্গে কী বললেন সৃঞ্জয় বসু?

মঙ্গলবার সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এএফসির প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তুর্কমেনিস্তানের ফুটবল দল আহাল এফকে। ঘরের…

Mohun Bagan General Secretary Srinjoy Bose Emotional Over Tutu Bose’s Recognition and Festivities

মঙ্গলবার সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এএফসির প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তুর্কমেনিস্তানের ফুটবল দল আহাল এফকে। ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। তাই এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকতে দেখা গিয়েছিল দলের ফুটবলারদের। বলাবাহুল্য, একেবারে প্রথম কোয়ার্টার থেকেই প্রতিপক্ষ দলকে ভালোমতো নজরে রাখছিলেন জেসন কামিন্সরা। তারপর সময় যত এগোয় ততই নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরতে থাকে মোহনবাগান।

কিন্তু ঘন ঘন আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি কতবারের আইএসএল জয়ীরা। খেলার দুই অর্ধে বহুবার গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে জেমি ম্যাকলারেনের মতো ফুটবলাররা। এমনকি আচমকা শট নিয়ে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেও বাদ রাখেননি ভারতীয় তারকা লিস্টন কোলাসো থেকে শুরু করে সাহাল আব্দুল সামাদের মতো ফুটবলাররা।‌ কিন্তু তবুও বল গোলে রাখা সম্ভব হয়নি। অমীমাংসিত প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও গোলের মুখ খুলতে তৎপর ছিল দুই শিবির। তবে এক্ষেত্রে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবকে।

   

শেষ পর্যন্ত অন্তিম কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় দলের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান এনওয়ার আনানিউ। তারপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সবুজ-মেরুন। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ দলের সমর্থকরা। এবারের ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের প্রথম ম্যাচে পরাজয় এক কথায় বিরাট ধাক্কা বাগান সমর্থকদের কাছে। ম্যাচ শেষে এই নিয়েই মুখ খুললেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু। সাংবাদিকদের তরফে মোহনবাগানের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আজকে প্রথম ম্যাচ ছিল আমরাও সুযোগ পেয়েছি ওরাও সুযোগ পেয়েছে। একটা গোল হয়ে গিয়েছে আমার মনে হয় না এই ম্যাচ দিয়ে অত কিছু দেখার আছে।”

Advertisements

আরও বলেন, “সহজ কঠিন বলে কিছু হয় না যার দিন থাকবে সেটা তারই দিন। দল যখনই মাঠে জেতে বা হারে সেটা অনুশীলন করার পরে অনুশীলন না করে কোনও খেলোয়াড় মাঠে নামে না। তাছাড়া ফ্রি সিজনের পরে যে কোনও টিম হারে না এটা তো কখনও হয়না। তবে টিম নামানোর প্রথম থেকেই আমরা কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছিলাম এক্ষেত্রে আক্রমণ বাড়লে হয়তো অন্য কিছু হতে পারতো। তবে যাই হোক এক্ষেত্রে পুরোটাই কোচের সিদ্ধান্ত। তবে মোলিনার যে সাফল্য রয়েছে মোহনবাগানে সেটা একটা মেসেজ বা একটা গোলের মধ্যে দিয়ে বিচার করা সম্ভব নয়। জিতে গেলে সব ভালো। হেরে গেলে সব খারাপ। এটা পৃথিবীর নিয়ম। আশা করি আগামী দিনে একটু ভালো রেজাল্ট হবে।”