দুরন্ত ফুটবলের মধ্যে দিয়ে এবারের ফুটবল সিজন শুরু করেছিল জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। ডুরান্ডের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয় দিয়েই এবারের আইএসএল শুরু করেছিল ইস্পাত নগরীর এই ফুটবল দল। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়াকে। পরবর্তীতে মুম্বাই সিটি এফসি ম্যাচে ও বজায় ছিল সেই ছন্দ। কিন্তু সময় এগোনোর সাথে সাথেই নিজেদের ছন্দ হারাতে শুরু করেছিল এই ফুটবল ক্লাব। স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়েছিল টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিলে। নেমে আসতে হয়েছিল অনেকটা নিচে। তবে নতুন বছরের প্রথম থেকেই অনবদ্য পারফরম্যান্স করতে শুরু করে স্টিফেন এজের দল।
অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসিকে। মাঝে ছন্দ পতন হলেও জয়ের সরণিতে ফিরতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে ঘরের মাঠে এফসি গোয়া দলকে পরাজিত করার ফলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছিল সকল ফুটবলারদের। তারপর দেশের এই প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের সুপার সিক্সে কোয়ালিফাই করতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। তারপর হুয়ান পেট্রো বেনালির শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে পরাজিত করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেমিফাইনালে স্থান করে নিয়েছিল খালিদ জামিলের ছেলেরা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল জোসে মোলিনার শক্তিশালী মোহনবাগান। প্রথম লেগের সেমিতে তাঁদের টেক্কা সম্ভব হলেও দ্বিতীয় লেগে শেষ রক্ষে হয়নি।
যারফলে লড়াই করে ও ছিটকে যেতে হয়েছিল এই ফুটবল দলকে। পরবর্তীতে অনবদ্য ফুটবলের মধ্যে দিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ শুরু করেছিল রেই তাচিকাওয়ারা। একের পর এক ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর দল ফাইনালে উঠলে ও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছিল মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়ার কাছে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিল সমর্থকরা। তবে নতুন সিজনে দল সাফল্য এনে দিতে বদ্ধপরিকর শ্রীকুত্তন ভিরুথিয়িল সন্তোষ। কিছু ঘন্টা আগেই জামশেদপুর এফসির জার্সিতে বেশকিছু ছবি আপলোড করেন এই তারকা ফুটবলার।
সেখানে তিনি লেখেন, “আইএসএলের প্রথম মরসুম আমার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । আমি কখনই ভুলব না। অনেক কিছু শিখেছি এবং জানতে থাকলাম। আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে এখানেই শেষ নয়। আমি দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আমরা আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবো।”