একের পর এক নামকরা ক্লাবের হয়ে খেলেছেন নদীয়ার সৌভিক দাস (Souvik Das)। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এক সময় ছিলেন মোহনবাগানের স্কোয়াডে। জাতীয় ফুটবলে তাঁর পরিচিতি রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু নিজের রাজ্যেই সেভাবে পাননি সুনাম। যুক্তি সঙ্গত কারণেই সৌভিকের আক্ষেপ রয়েছে।
যারা ভারতীয় ফুটবলকে ফলো করেন তাদের কাছে সৌভিক দাস অপরিচিত কোনও নাম নয়। এই কিছু দিন আগে স্পোর্টিং ক্লুব বেঙ্গালুরুর হয়ে আই লিগ টু চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এবার আই লিগের সিনিয়র ডিভিশনে খেলবে দল। স্পোর্টিং ক্লুব বেঙ্গালুরু দলের এই সাফল্যের পিছনে সৌভিকের অবদান রয়েছে। দলের হয়ে খেলেছিলেন ধারাবাহিকভাবে।
East Bengal: ইস্টবেঙ্গলকে বিদায় জানাল ‘ক্যাপ্টেন’
সৌভিকের ক্লাব কেরিয়ারই শুরু হয়েছিল গোয়ায়। স্পোর্টিং ক্লুব দি গোয়া থেকে শুরু পেশাদার ফুটবল কেরিয়ার। তারপরে খেলেছেন সালগাওকরের হয়ে। এরপর মিনার্ভা পাঞ্জাব হয়ে মোহনবাগানে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। মোহনবাগানের ২০১৭ সালের কলকাতা ফুটবল লিগের স্কোয়াডে সৌভিক দাসকে রাখা হয়েছিল। ২০১৭-২০ পর্যন্ত মিনার্ভা পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন। ২০১৭-১৮ মরসুমে জিতেছিলেন আই লিগ। পর্যায়ক্রমে খেলেছেন রাউন্ড গ্লাস পাঞ্জাব, সুদেভা দিল্লি, রাজস্থান ইউনাইটেডের হয়ে।
স্পোর্টিং ক্লুব বেঙ্গালুরুর হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সৌভিক এখন নদিয়ায় নিজের বাড়িতে। বললেন, “অন্য রাজ্য থেকে খেলে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল। অনেক নামকরা ক্লাবে খেলেছি। জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক দলের হয়েও ধারাবাহিকভাবে খেলেছিলাম। কিন্তু কলকাতায় লোকে আমাকে সেভাবে চিনল কি?” আক্ষেপের সঙ্গে বলেছেন সৌভিক।
Mohun Bagan: দ্রুত বড় ঘোষণা করতে পারে মোহনবাগান
সৌভিকের যুব কেরিয়ার রীতিমত চমকে দেওয়ার মতো. জাতীয় দলের যুব দলের সদস্য ছিলেন ধারাবাহিকভাবে। অনূর্ধ্ব ১৪, অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৭, অনূর্ধ্ব ১৯ টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলেছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ (২০১৩) টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্ব করেছিলেন।
ভারতের মূল দলে সুযোগ পেলেন না কেন? প্রশ্ন করা হয়েছিল সৌভিককে। “তখন কোচ বদল হয়েছিল। উইম কোভারসম্যান দায়িত্ব এসেছিলেন। তার পর সিনিয়র দলে আর সুযোগ পাওয়া হয়নি। ভারতের হয়ে খেলতে পারলে কেরিয়ারটা হয়তো অন্যরকম হতে পারতো”, বলেছেন সৌভিক।
আপাতত কলকাতা ফুটবল লিগে ফোকাস করেছেন সৌভিক দাস। আসন্ন কলকাতা ফুটবল লিগে খেলবেন সুরুচির হয়ে।