দিনকয়েক আগেই বেজে গিয়েছে নয়া সিএফএল (Calcutta Football League) মরসুমের দামামা। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার রোয়িং ক্লাবে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের গ্ৰুপ বিন্যাস। যেখানে সকলের সামনে মূলত লটারি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয় দল গুলির গ্ৰুপ বিভাগ। যেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল সুব্রত পাল থেকে শুরু করে ভাস্কর গাঙ্গুলি, অলোক মুখার্জি, অমিত ভদ্র, প্রসূন ব্যানার্জি, শিশির ঘোষ, দীপেন্দু বিশ্বাস, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন, অ্যালভিটো ডিকুনহার মতো একাধিক প্রাক্তন তারকা ফুটবলার। এছাড়াও ছিলেন বাংলা দলের সন্তোষ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেন।
তাঁদের হাত ধরেই আয়োজিত হয়েছিল পুরো লটারি প্রক্রিয়া। যেখানে প্রথমেই উঠে এসেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের নাম। বলাবাহুল্য, কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের সঙ্গে একই গ্রুপে থেকেছে পড়শী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। অর্থাৎ এবার গ্রুপ পর্বেই থাকছে হাইভোল্টেজ ডার্বি। এছাড়াও মোহন-ইস্টের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকল মেসার্স ক্লাব, কালিঘাট স্পোর্টস লাভার্স, সুরুচি সংঘ, রেলওয়ে এফসি, বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাব, জর্জ টেলিগ্ৰাফ, ক্যালকাটা কাস্টমসের মতো ফুটবল দল।
অন্যদিকে, পরবর্তী বিভাগ অর্থাৎ গ্ৰুপ ‘বি’তে কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে থাকল ডায়মন্ড হারবার এফসি থেকে শুরু করে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, কলকাতা পুলিশ, উয়াড়ি অ্যাথলেটিকের মতো ক্লাব গুলি। এমনকি এই গ্ৰুপেই রয়েছে সার্দান সমিতি। তবে এবার এই গ্ৰুপ বিন্যাস নিয়েই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল সার্দান সমিতি কতৃপক্ষ। এক্ষেত্রে মূলত লটারি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করে তাঁদের তরফে। সেই অনুযায়ী একটি অভিযোগপত্র ও নাকি জমা দেওয়া হতে চলেছে তাঁদের তরফে।

বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ও নাকি রয়েছেন সার্দান সমিতির এক কর্তা। পূর্বে ও নাকি আইএফএ-এর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যারফলে স্বাভাবিকভাবেই ফেডারেশনের নয়া পরিকল্পনা গুলিকে কেন্দ্র করে সকলের মতামত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উঠে আসতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।