ভারতীয় ফুটবলের অগ্ৰগতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান। এই তিন শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবের মধ্যে দিয়ে দশকের পর দশক ধরে জাতীয় দলে উঠে এসেছেন একাধিক দাপুটে ফুটবলার। তবে গত বছর ধরে যথেষ্ট ধারবাহিকতার সাথে ভালো পারফরম্যান্স করে আসছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি আইএসএলের লিগ কাপ ও লিগ শিল্ড এসেছে তাঁদের ঘরে। এক কথায় যা বিরাট সাফল্য। বলতে গেলে তিন প্রধানের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখেন বহু তরুণ ফুটবলার।
Also Read | ইংল্যান্ড সিরিজে বোলিং দাপটের রহস্য ফাঁস করলেন DSP
তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন কামালগাছির শ্যাম থাপা (Shyam Thapa Jr)। অধিকাংশ সময় শ্যাম থাপা জুনিয়র হিসেবেই অধিক পরিচিত বছর তেইশের এই ফুটবলার। ভবিষ্যতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। গত ২০১৮-২০১৯ সালে কেশোরাম ফুটবল একাডেমি থেকে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে সকলের নজর আসতে শুরু করেন এই ফরোয়ার্ড। পরবর্তীতে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ইয়ুথ লিগ, তৃতীয় ডিভিশন লিগ হয়ে বর্তমানে মহামেডান এসির হয়ে বর্তমানে প্রথম ডিভিশন লিগ খেলছেন এই ফুটবলার। ইতিমধ্যেই এই দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন প্রায় তিনটি ম্যাচ। যার মধ্যে এফসিআই এর বিপক্ষে একটি দৃষ্টিনন্দন গোল ও রয়েছে এই ফুটবলারের। এছাড়াও একটা সময় উয়াড়ী অ্যাথলেটিক ক্লাবের হয়ে ও খেলেছেন সুনীল ছেত্রীর এই ভক্ত।
Also Read | এএফসির প্রিলিমিনারী রাউন্ডে নেই লাল-হলুদের এই ফুটবলার, কিন্তু কেন?
তবে শুধুমাত্র সুনীল নয়, দিমিত্রি পেত্রাতোসের পাশাপাশি অজি গোলমেশিন জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে ভারতীয় তারকা তথা মনবীর সিংয়ের পারফরম্যান্স ও যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করে তাঁকে। সেজন্য ফুটবলকে নিজের ধ্যান জ্ঞান করে বছরের পর বছর ধরে নিজেকে তৈরি করে চলেছেন এই ফুটবলার। একটা সঠিক সুযোগ হয়তো বদলে দিতে পারে তাঁর ভবিষ্যতের পথ। কিন্তু শুধুমাত্র বাংলার ফুটবল নয়। গত কয়েক বছরে পাহাড়ের বুকে ও নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন এই শ্যাম থাপা জুনিয়র। বিশেষ করে সিকিম ফুটবল লিগে গ্যাংটক হিমালয়ান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সিতে যথেষ্ট নজরকাড়া পারফরম্যান্স ছিল এই ফুটবলারের।
Also Read | ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসনের মুখে তারকা ক্রিকেটার
কিন্তু সময়ের সাথে সাথেই বেড়েছে দায়িত্ব। বর্তমানে ফুটবল তাঁর প্যাশন হলেও ভালো থাকার তাগিদে বেসরকারি চাকুরিজীবীদের তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন দীপেন্দু বিশ্বাসের এই প্রাক্তন সতীর্থ। তবুও নিজের জীবন থেকে হারিয়ে যেতে দেননি ফুটবলকে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির মধ্যে দিয়েই এগিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আমাদের দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই ফুটবলার জানান,এই লড়াইয়ের যথেষ্ট সাহায্য করে আসছে তাঁর অফিস কর্তৃপক্ষ। সেই সুবাদেই সকালে চাকুরির পর্ব মিটিয়ে বিকেলে চলে আসেন ময়দানে। তারপর, বুট পায়ে লড়াই। নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই। নজরকাড়ার লড়াই। দীপেন্দু বিশ্বাস জুনিয়রের মতো সবুজ-মেরুনে সুযোগ পাওয়ার লড়াই।