ইংল্যান্ডের হেডিংলেতে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ইনিংসে শুভমান গিল (Shubman Gill) একটি অসাধারণ সেঞ্চুরি করে ঝড় তুলেছেন। ইংল্যান্ডে তার গড় মাত্র ১৪.৬৬ ছিল, যা তাকে প্রচণ্ড চাপের মুখে ফেলেছিল। কিন্তু ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটার অতীতের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করতে না দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে খেলে ত্রিসংখ্যার মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন। শান্ত ও সংযত পদ্ধতিতে গিল যশস্বী জয়সওয়াল এবং ঋষভ পন্থের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তুলে টেস্ট ক্রিকেটে তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে গিল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (WTC) সর্বাধিক সেঞ্চুরির ক্ষেত্রে বিরাট কোহলি এবং যশস্বী জয়সওয়ালকে ছাড়িয়ে গেছেন। এদিনের শুরুতে জয়সওয়ালও একটি সেঞ্চুরি করে কোহলির সঙ্গে সমানে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু গিল দ্রুতই তাদের অতিক্রম করেন। বর্তমানে, ভারতের হয়ে ডব্লিউটিসিতে সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক রোহিত শর্মা, যিনি ৯টি সেঞ্চুরি করেছেন।
ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ডব্লিউটিসিতে সেঞ্চুরির তালিকা নিম্নরূপ:
ভারতীয় খেলোয়াড়দের ডব্লিউটিসি সেঞ্চুরি
- রোহিত শর্মা – ৯
- শুভমান গিল – ৬
- বিরাট কোহলি – ৫
- যশস্বী জয়সওয়াল – ৫
- মায়াঙ্ক আগরওয়াল – ৪
- ঋষভ পন্থ – ৪
এশিয়ার বাইরে গিলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি
এই সেঞ্চুরি গিলের এশিয়ার বাইরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর আগে তিনি ভারতে পাঁচটি এবং বাংলাদেশে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এশিয়ার বাইরে সেঞ্চুরি না করার জন্য তিনি বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন, কিন্তু এই ইনিংসে তিনি সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। মাঠের মাঝখানে দৃঢ়চিত্তে খেলে তিনি বিরাট কোহলি এবং সচিন তেন্ডুলকরের চার নম্বর পজিশনের উত্তরাধিকারকে সম্মান জানিয়েছেন।
২০০০ টেস্ট রানের মাইলফলক
প্রথম টেস্টে গিল ২০০০ টেস্ট রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন। এই রেকর্ডের জন্য তার প্রয়োজন ছিল ১০৭ রান, যা তিনি সফলভাবে অর্জন করেন। এছাড়াও, তিনি অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে টেস্ট সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাস্কর এবং বিরাট কোহলির পাশে নাম লিখিয়েছেন।
রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারতীয় মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। তাই গিলের উপর দায়িত্ব অনেক। তিনি এই সিরিজে দলের মূল স্তম্ভ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে গিল ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা হয়ে উঠবেন।