এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ‘এন্টি’ পাচ্ছেন গিল, বাদ পড়ছেন ১৩ কোটির তারকা!

৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে এশিয়া কাপ ২০২৫ (Asia Cup 2025)। যদিও এবারের আসরটি হবে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে। ফলে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মহড়া…

Shubman Gill like to entry in Indian Cricket Team for Asia Cup 2025 replace of KKR star Rinku Singh

৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে এশিয়া কাপ ২০২৫ (Asia Cup 2025)। যদিও এবারের আসরটি হবে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে। ফলে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মহড়া হিসেবেই ধরা হচ্ছে। ভারতীয় স্কোয়াড ( Indian Cricket Team) ঘোষণা ঘিরে চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলছে নির্বাচক মণ্ডলীতে। অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে প্রথম একাদশে কারা থাকবেন, তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা তুঙ্গে। পাশাপাশি তরুণ অধিনায়ক শুভমন গিলকে (Shubman Gill) নিয়েও কমছে না আলোচনা।

২০২৩ আইপিএলে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। এরপরই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন আলিগড়ের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু সময় বদলেছে। ২০২৪ সালের আইপিএলে মাত্র ১১৩ বল এবং ২০২৫ আইপিএলেও মাত্র ১৩৪ বল খেলার সুযোগ। সেই পরিসংখ্যানই কার্যত তাঁর পতনের দিক স্পষ্ট করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় দলের চিন্তাধারাতেও এসেছে বড়সড় পরিবর্তন।

   

সূত্রের খবর, কেকেআরের তৎকালীন মেন্টর গৌতম গম্ভীর নিজেও খুব একটা গুরুত্ব দেননি রিঙ্কুকে। এখন গম্ভীর ভারতীয় দলেরও স্ট্র্যাটেজি ম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ফলে তাঁর ভাবনাতেও একমাত্রিক ব্যাটসম্যানদের প্রতি সমর্থন নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

এবারের স্কোয়াড নিয়ে অন্যতম আলোচ্য বিষয় শুভমন গিলের ভূমিকা। টেস্ট দলের অধিনায়ক ও গুজরাট টাইটান্সের আইপিএল অধিনায়ক হিসেবে গিল যে দলের মধ্যে ‘ফ্লেভার অফ দ্য সিজন’, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শোনা যাচ্ছে তাঁর জায়গা নিশ্চিত, কিন্তু প্রশ্ন হল কাকে বাদ দিয়ে গিলকে নেওয়া হবে?

Advertisements

যদি দলের টপ ফাইভ ধরা হয় অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, তিলক ভার্মা, অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া—তবে সেখানে কারো জায়গা ফাঁকা নয়। সেই পরিস্থিতিতে গিলকে দলে নিতে গেলে রিঙ্কুকে ছেঁটে ফেলা একমাত্র উপায় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এক প্রাক্তন নির্বাচক পিটিআইকে বলেন, “শুভমনকে এখন দলে ঢুকতেই হবে, কারণ ওর পারফরম্যান্স ও অবস্থান দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একইসঙ্গে সঞ্জু বা অভিষেককে বাদ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নয়। তাহলে রিঙ্কু ছাড়া আর কে?”

রিঙ্কুর জায়গা নিতে পারেন শিবম দুবে বা জিতেশ শর্মা। একজন মিডল অর্ডারে বড় শট খেলতে পারেন, বলও করতে পারেন। অন্যজন ফিনিশার ও উইকেটকিপার হিসেবে কার্যকর। গম্ভীরের মতো স্ট্র্যাটেজিস্টদের কাছে এমন ‘মাল্টি-ডাইমেনশনাল’ খেলোয়াড়ই প্রাধান্য পায়।

এখন প্রশ্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে রিঙ্কু নিজেকে ফের কিভাবে প্রমাণ করবেন? একসময় জাতীয় দলে তাঁর অভ্যুদয় ছিল নাটকীয়, কিন্তু এখন সেই রূপকথার ইতি ঘটতে চলেছে কি?