লাল-হলুদ ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদে সরব শিল্টন পাল

গত মহামেডান ম্যাচ থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। অমীমাংসিত ফলাফলে সেই ম্যাচ শেষ হলেও তারপর থেকেই একের পর এক শক্তিশালী দলকে…

Shilton Paul referee criticism

গত মহামেডান ম্যাচ থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। অমীমাংসিত ফলাফলে সেই ম্যাচ শেষ হলেও তারপর থেকেই একের পর এক শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে সকলকে চমকে দিয়েছিল ময়দানের এই প্রধান। মাঝে ফের ধাক্কা খেতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডের। শেষ তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুইটি ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছে পাঞ্জাব এফসি থেকে শুরু করে শক্তিশালী জামশেদপুর এফসিকে। শনিবার সেই ধারা বজায় রাখাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল ক্লেটন সিলভাদের। সেইমতো নিজামের শহরে তাঁরা খেলতে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে।

সেই ম্যাচে জিকসন সিংয়ের গোলে দল এগিয়ে থাকলেও সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। যারফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় মশাল ব্রিগেডকে‌। তা যথেষ্ট হতাশ করেছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। তবে এই ম্যাচ জুড়ে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা বিতর্ক। যা নিয়ে এবার সরব হলেন পড়শী ক্লাব তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রাক্তন গোলরক্ষক শিল্টন পাল। বলাবাহুল্য, এই ম্যাচের প্রথমার্ধে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের গোল বক্সে হানা দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। সেই সময় নিজেদের গোল পোস্ট বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের এই ফুটবলারের দিকে তেড়ে যান হায়দরাবাদ গোলরক্ষক আর্শদীপ সিং।

   

তবে ফুটবলের বদলে ক্লেটনের বুকে পা চালিয়ে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। সেই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় মাঠের মধ্যে। এক্ষেত্রে লাল-হলুদ ফুটবলারদের তরফ থেকে ফাউলের পাশাপাশি পেনাল্টির আবেদন করা হলেও কার্যত নীরব থাকেন ম্যাচ রেফারি। যা রীতিমতো চমকে দিয়েছে সকলকে। আইএসএলের এমন ঘটনা নিয়েই এবার সরব হলেন বাঙালি গোলরক্ষক শিল্টন পাল। একটা সময় সবুজ-মেরুন জার্সিতে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছিলেন শিল্টন। ডার্বি ম্যাচে দলের তিন কাঠি ও সামাল দিয়েছেন যথেষ্ট তৎপরতার সাথে। কিন্তু রেফারির এমন উদাসীন মনোভাব কিছুতেই মেনে নিতে পারেনিন তিনি।

এজন্য, শনিবার গভীর রাতে নিজের সোশ্যাল সাইটে ক্লেটন ও আর্শদীপের সংঘর্ষের কয়েকটি ছবি আপলোড করে শিল্টন লেখেন, ” আজ রাতে হায়দরাবাদের গোলরক্ষক আর্শদীপ একেবারে জঘন্য ট্যাকেল করেছে।এই ধরনের বেপরোয়া চ্যালেঞ্জ একটি সোজা লাল কার্ড এবং একটি দীর্ঘ সাসপেনশন প্রাপ্য। ইউরোপীয় লিগ গুলিতে এই ধরনের বিপজ্জনক খেলার মারাত্মক পরিণতি হবে। দলের গোলরক্ষক হিসেবে মাঠে দলকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু আর্শদীপের ট্যাকেল অগ্রহণযোগ্য ছিল এবং প্রতিপক্ষের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিল। আসুন আমরা সরব হই”।