পাকাপাকিভাবে শুরু হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)-ইমামি (Emami) পথচলা। কলকাতার (Kolkata) বিলাসবহুল হোটেলে বহু প্রতীক্ষিত সাংবাদিক সম্মেলন। “স্পনসর নয়”, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে “ইনভেস্টর” ইমামি গোষ্ঠী।
সম্পন্ন হয়েছে সই। ক্লাবের ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে উন্নতি সাধনে চেষ্টা চালাবে কোম্পানি। কিন্তু কোন শর্তে সমঝোতার পথে এল দুই পক্ষ? আধুনিক ফুটবলে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে মালিকানা। উন্নয়নের জন্য কোম্পানি টাকা যেমন ঢালবে, তেমনই মালিকানার অনেকটা চলে যাবে তাদের হাতে। ইস্টবেঙ্গল- ইমামি চুক্তিও ব্যতিক্রমী নয়।
মঙ্গলবার বিকেলে জানা গিয়েছে, বিনিয়োগকারী কোম্পানি ইমামির হাতে থাকবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মোট মালিকানার ৭৭ শতাংশ। লাল-হলুদ কর্তাদের হাতে থাকবে বাকি ২৩ শতাংশ। এটা অবশ্য অপ্রত্যাশিত বা বিস্ময়কর কিছু নয়। মালিকানা ভাগাভাগি সংক্রান্ত আলোচনাতে যে বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়েছে সেটা অনুমেয়।
ইস্টবেঙ্গল ও ইমামির সম্পর্ক যখন ঠিক দানা বাঁধছিল না, সেই তখন থেকে ক্লাবের মালিকানা সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়েছিল ময়দানে। শোনা গিয়েছিল, ইমামি মোট ৮০ শতাংশ শেয়ার দাবি করেছে। লাল হলুদ কর্তারা নাকি সেটাই রাজি ছিলেন না। কোম্পানির তরফে আলোচনার দরজা খোলা রাখা হয়েছিল। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ পাওয়া যাবে বলে বারংবার বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হল-ও তাই।