শারদ সৃজনী সম্মানে ‘হাউসিং পুজো’কে স্বীকৃতি, দায়িত্বে প্রাক্তন ফুটবলাররা

দূর্গাপুজো (Durga Puja 2025) বাঙালির হৃদয়স্পন্দন, এক মহোৎসব যা মিলিয়ে দেয় শিল্প, সংস্কৃতি এবং সমাজচেতনার মেলবন্ধনকে। এই উৎসবের অঙ্গ হিসেবে এবারও আয়োজিত হচ্ছে শারদ সৃজনী…

Sharad Srijoni Samman & Khushee initiative celebrating creativity compassion Durga Puja 2025 awards community upliftment

দূর্গাপুজো (Durga Puja 2025) বাঙালির হৃদয়স্পন্দন, এক মহোৎসব যা মিলিয়ে দেয় শিল্প, সংস্কৃতি এবং সমাজচেতনার মেলবন্ধনকে। এই উৎসবের অঙ্গ হিসেবে এবারও আয়োজিত হচ্ছে শারদ সৃজনী সম্মান (Sharad Srijoni Samman)।

Advertisements

২০১৩ সালে শুরু হওয়া শারদ সৃজনী সম্মান আজ বাঙালির পুজো সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিমা নির্মাণ, প্যান্ডেলের বৈচিত্র্যপূর্ণ থিম, সামাজিক বার্তা ও সামগ্রিক উৎকর্ষতা সব দিক থেকেই খোঁজা হয় সেরা সৃষ্টিকে। এবছর প্রথমবারের মতো হাউসিং সোসাইটির পুজোগুলোকেও প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

   

কবে থেকে হতে পারে সুপার কাপ? জানুন

মূল পাঁচটি বিভাগ ছাড়াও এবার সংযোজিত হয়েছে দুটি নতুন পুরস্কার :

‘শারদ সৃজনী চিত্রলেখন শিল্পী’ (গ্রাফিক ডিজাইনে অবদানের জন্য) এবং ‘বিশেষ জুরি পুরস্কার’ (শিল্পনিষ্ঠা ও একনিষ্ঠতার স্বীকৃতি দেয়)।

এবারের সম্মাননার জুরি প্যানেলে রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সহ প্ৰাক্তন ফুটবলরারা ভাস্কর গাঙ্গুলি, সুভর্ণা দত্ত, অমিতাভ সামন্ত, সমর পল, জামশেদ নাসিরি ও বিকাশ পাঁজি।

শক্তিশালী চিনকে বিধ্বস্ত করে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত

এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছে ‘খুশি’। এক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করছে ভারত গ্রিনস রিয়েলিটি প্রাইভেট লিমিটেড। সমাজের প্রান্তিক শিশু ও কিশোরদের নিয়ে কাজ করে চলেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও পুনর্গঠনের মাধ্যমে তাদের জীবনে আশার আলো জ্বালানোই এর লক্ষ্য।

উল্লেখযোগ্যভাবে, খুশির ‘আমার বাংলা আবার সবুজ হোক’ কর্মসূচিতে আমফান পরবর্তী সময়ে কলকাতায় প্রায় ৫০,০০০ গাছ লাগানো হয়। মহামারির সময় খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া এবং উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা প্রদানের মতো কাজগুলোয়ও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে খুশি।

কেন কাফা কাপকে বাছলেন প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে? বললেন ভারতীয় তারকা ডিফেন্ডার

এ বছর খুশি নতুন কর্মসূচি ‘উন্মেষ’ শুরু করেছে। এর উদ্দেশ্য প্রতিভাধর অথচ পিছিয়ে থাকা তরুণদের খুঁজে বের করে তাদের শিক্ষা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুশীলন ও অন্যান্য দক্ষতায় পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলা আর্থিক, মানসিক ও চিকিৎসাগত সহায়তার মাধ্যমে।

শারদ সৃজনী সম্মান ও খুশির উদ্যোগে মেলবন্ধন দূর্গাপুজোকে শুধু এক উৎসবে সীমাবদ্ধ না রেখে, রূপ দেয় এক সামাজিক আন্দোলনে। যেখানে সৃজনশীলতা যেমন সম্মান পায়, তেমনি মানবিক মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধও সমানভাবে উদযাপিত হয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগ আরও বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে এবং শিল্প-সংস্কৃতি ও সমাজের মেলবন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে তুলবে।