শাহীন আফ্রিদি শীর্ষে ফিরে এলেন আইসিসি ওডিআই বোলার র‍্যাঙ্কিংয়ে

পাকিস্তানের পেস সেনানী শাহীন আফ্রিদি (Shaheen Afridi) আবারও আইসিসি ওডিআই বোলার র‍্যাঙ্কিংয়ে (ICC ODI Bowler Rankings) শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন৷ তার এই অর্জনটি এসেছে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ার…

Shaheen Afridi Reclaims Top Spot in ICC ODI Bowler Rankings,

short-samachar

পাকিস্তানের পেস সেনানী শাহীন আফ্রিদি (Shaheen Afridi) আবারও আইসিসি ওডিআই বোলার র‍্যাঙ্কিংয়ে (ICC ODI Bowler Rankings) শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন৷ তার এই অর্জনটি এসেছে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় এবং তার অসাধারণ বোলিং প্রদর্শনের পর। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম অগ্রণী তারকা শাহীন আফ্রিদি, যারা অনেক দিন ধরেই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের মূল স্তম্ভ, এই বছর আবারও প্রমাণ করেছেন তার বোলিং শক্তি।

   

সম্প্রতি পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন শাহীন আফ্রিদি। তিনি ৮টি উইকেট নিয়েছেন এবং তার গড় ছিল মাত্র ১২.৬২। সিরিজ শেষে তিনি ছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটকারী বোলার। এই পারফরম্যান্সের ফলে তিনি র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনটি স্থান উন্নীত হয়ে আবার শীর্ষে উঠে এসেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজকে টপকে শীর্ষে পৌঁছান শাহীন। আর আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

এটা প্রথম নয়, এর আগেও ২০২৩ সালে শাহীন আফ্রিদি প্রথমবার শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলেন, যখন তিনি আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাকে এই শীর্ষ স্থান অর্জনে সহায়তা করেছে।

হারিস রাউফ ও নাসিম শাহরও উন্নতি
শাহীন আফ্রিদির সঙ্গী হারিস রাউফ ১৪টি স্থানে উন্নতি করে এখন ১৩তম স্থানে অবস্থান করছেন। তিনিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর এই উন্নতি করেছেন। তিনি সিরিজে ১০টি উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন। আরেক পাকিস্তানি বোলার নাসিম শাহও ১৪টি স্থান উন্নতি করে ৫৫ তম স্থানে পৌঁছেছেন।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ, বিশেষ করে শাহীন, হারিস এবং নাসিমের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখন আইসিসি ওডিআই র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে।

বাবর আজমের ব্যাটিং রেকর্ড
আইসিসি ওডিআই ব্যাটসম্যান র‍্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক বাবর আজম তার শীর্ষস্থান অটুট রেখেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ৮০ রান করে তার ব্যাটিং দক্ষতা পুনরায় প্রমাণ করেছেন। বাবরের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে শক্তিশালী করেছে। তিনি সিরিজে একবারই আউট হয়েছেন, এবং তার পারফরম্যান্সে পাকিস্তান দলের জয় ও স্কোরে বেশ বড় অবদান রেখেছেন।

বাবর আজমের বর্তমান পারফরম্যান্স তাকে আইসিসি ওডিআই ব্যাটসম্যান র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করছে। তার পরিসংখ্যান ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

মহম্মদ রিজওয়ান এবং অন্যান্য পরিবর্তন
পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানও ব্যাটসম্যান র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন। তিনি ৭৪ রান করে দুই স্থান উন্নীত হয়ে ২৩ তম অবস্থানে পৌঁছেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেটে রিজওয়ানের এই উন্নতি দলের জন্য আশা জাগানিয়া। তার পারফরম্যান্স আগামী দিনে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারের গভীরতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১১টি স্থান উন্নতি করে ২৩ তম স্থানে পৌঁছেছেন, আর আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাইও উন্নতি করে ৩১ তম স্থানে রয়েছেন।

অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে মোহাম্মদ নবীর শীর্ষস্থান
আইসিসি ওডিআই অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী এখনো শীর্ষস্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের মেহেদি হাসান মিরাজ ৪র্থ স্থানে উন্নতি করেছেন এবং আফগান অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাই ৯ম স্থানে উন্নীত হয়েছেন।

টি-২০আই র‍্যাঙ্কিংয়ের অগ্রগতি
এছাড়া, টি-২০আই র‍্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ফিল সল্ট (দ্বিতীয় স্থানে) এবং জস বাটলার (ষষ্ঠ স্থানে) উন্নতি করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার নিকোলাস পুরানও ১০ম স্থানে উন্নতি করেছেন। ভারতের সঞ্জু স্যামসন ২৭টি স্থান এগিয়ে ৩৯তম স্থানে পৌঁছেছেন।

এছাড়া, টি-২০আই বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওানিন্দু হাসরাঙ্গা ৪টি স্থান এগিয়ে ২য় স্থানে পৌঁছেছেন এবং ভারতের রবি বিষ্ণোই ৭ম স্থানে উন্নতি করেছেন।

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো পাকিস্তান এবং অন্যান্য দলের জন্য একটি বড় উত্সাহ হতে পারে। বিশেষ করে শাহীন আফ্রিদির শীর্ষস্থানে ফিরে আসা এবং বাবর আজমের ধারাবাহিকতা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। আগামী দিনগুলিতে এই তারকারা যদি তাদের বর্তমান ফর্ম ধরে রাখতে পারেন, তবে পাকিস্তান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বিশ্ব ক্রিকেটে।