মোহনবাগানের (Mohun Bagan) সহ-সভাপতি হয়েছেন কুণাল ঘোষ। এখনও বাকি রয়েছে সভাপতি পদে নির্বাচন। একাধিক নাম শোনা যাচ্ছে বাগান অন্দরে। জল্পনায় একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
কুণাল ঘোষ মোহনবাগানের সহ-সভাপতি হওয়ার পর ক্ষোভ ফেটে পড়েছিলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। হেভিওয়েট রাজনীতিবিদকে পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, ক্রমে তৃণমূলের ছায়ায় চলে যাচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব।
গত কর্মসমিতির সভায় চারজন ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। বাকি রয়েছে আরও দু’টি নাম। তবে আলোচনায় সবথেকে বেশি রয়েছে মোহনবাগানের প্রেসিডেন্ট পদ। শোনা যাচ্ছে এটিকে মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে নিয়ে আসা হতে পরে ঐতিহ্যবাহী এই পদে। ময়দানে ভাসছে আর এক তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ানের নামও।
প্রশ্ন উঠছে কোন অংকে সভাপতি করা হতে পারে গোয়েঙ্কাকে। মোহনবাগান নামের আগে ‘এটিকে’ সরানোর দাবি দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি ‘রিমুভ এটিকে’ স্লোগান আরও জোরদার হতে পরে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বাগান সমর্থকদের একটি বড় ফ্যান বেসের পক্ষ থেকে। ক্লাবের নয়া সচিব দেবাশীষ দত্ত সম্প্রতি জানিয়েছিলেন এ ব্যাপারে তিনি শীঘ্রই সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বললেন। শিল্পপতিকে সভাপতি করা হলে মোহনবাগান নামের আগে থেকে এটিকে আদৌ সরবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। গোয়েঙ্কা আগে একবার জানিয়েছিলেন, এটিকে নাম তোলা যাবে না।
সঞ্জীবের বাবা রমাপ্রসাদ গোয়েঙ্কা ছিলেন মোহনবাগানের সদস্য। তাঁর ছেলেরও ক্লাবে সদস্য পদ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্য দিকে আলোচনায় ডেরেক ও’ব্রায়ানের নাম শোনা যাচ্ছে। ক্রমে ক্লাবে রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন ফুটবল মহলের একাংশ। টুটু বসু নিজেকে আগেই সরিয়ে নিয়েছিলেন। সৃঞ্জয় বসুও সেই পথের পথিক। দেবাশীষ দত্ত সম্প্রতি ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। যার পিছনে বাবুন ব্যানার্জীর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে অনুমান। আগেও তৃণমূলের নেতা ক্ষমতা লাভ করেছেন বাগানে। অরূপ রায় ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। সচিব বাবুন ব্যানার্জী। এই পরিস্থিতি ডেরেক কিংবা তৃণমূলের কোনো নেতাকে ক্লাবের পদে বসানো হলে ‘রাজনীতিকরণ’ সংক্রান্ত আলোচনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে আগামী দিনে।