Santosh Trophy Final, Kerala vs Bengal : চলছিল সন্তোষ ট্রফি ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ের খেলা। ৯০ মিনিট অতিক্রান্ত অনেক আগেই। বাংলার রক্ষণভাগে ক্রমে বাড়ছিল কেরালার চাপ। চিনের প্রাচীরের মতো মজবুত বাংলার ডিফেন্স। হঠাৎ পাল্টা আক্রমণে উঠে এলেন মনোতোষ চাকলাদাররা। উঠে এলেন সেমিফাইনালে গোল করা দিলীপ ওরাওঁ…
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলা। প্রথম কোয়ার্টারে এসে গিয়েছিল দারুণ সুযোগ। মহম্মদ ফারদিন আলি মোল্লার কাছ থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন নবি। বলের সঙ্গে সরাসরি মাথার সংযোগ। একটুর জন্য বল বেরিয়ে গিয়েছিল কেরালার গোলপোস্টের বাইরে।

কেরালা মঞ্জেরি স্টেডিয়ামে দুই দলই একাধিক গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন বাংলা এবং কেরালা দলের গোলরক্ষকেরা।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোল করার নিশ্চিত সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল কেরালা। বল ছিল অধিনায়ক জিজো জোসেফের কাছে। তাঁর সামনে তখন এক বাংলার প্রিয়ান্ত সিং। আগুয়ান জোসেফের কাছে বল লক্ষ্য করে শরীর ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বঙ্গ তনয়। বাংলার তেকাঠির মধ্যে আর বল রাখতে পারেননি জিজো। বাংলা দুর্গের অনিবার্য পতন রক্ষা করেছিলেন প্রিয়ান্ত।
মাঠ জুড়ে বল ঘোরাফেরা করেছে পেন্ডুলামের মতো। কখনও বাংলার পায়ে বল, তো কখনও কেরালার পায়ে। আক্রমণ প্রতি আক্রমণ এবং ডিফেন্স। এইভাবেই শেষ হয়েছিল যথাক্রমে প্রথমার্ধ এবং নির্ধারিত নব্বই মিনিট।

বাংলা, কেরালা উভয় দলেই একাধিক ফুটবলার টুর্নামেন্টে গোল করেছেন। কিন্তু সোমবারের ফাইনালে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দুই দলই গোলহীন। খেলা গড়ায় নব্বই অতিরিক্ত সময়ে। নাটকের শেষ অংক।
৯৭ মিনিটে বাংলার বক্সের সামনে দুই দলের খেলোয়াড়দের ভিড়। চাপে বঙ্গ ডিফেন্স। এমন সময় পাল্টা আক্রমণ। গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন দিলীপ ওরাওঁ। যিনি এর আগের ম্যাচেও গোল করেছিলেন। এক লহমায় নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল কানায় কানায় পূর্ণ মঞ্জেরি স্টেডিয়ামের গ্যালারি। এক গোলে পিছিয়ে ঘরের ছেলেরা।
বত্রিশবার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বাংলা। তেত্রিশতম খেতাব চোখের সামনে। সেমিফাইনালে দুরন্ত খেলেছিলেন ছেলেরা। এবারের ফাইনালে নামার আগে তবু একটা কাঁটা ফুটবলারদের গলায় আটকে ছিল। গ্রুপ পর্বে কেরালার বিরুদ্ধে দল জিততে পারেনি। কেরালার ফর্মও দারুণ। প্রতিযোগিতায় গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছে তারা। দিলীপের গোলের পর তারা কি আর এতো সহজে মুষড়ে পড়বে!

১২০ মিনিট অতিক্রম হতে যখন আর মিনিট তিনেকের মতো বাকি, তখনই ফের গোল। এবার কেরালা। ১১৭ মিনিটে স্কোরলাইন ১-১। এবার পেনাল্টি শ্যুট আউট। সেখানে পারল না বাংলা। কেরালার পক্ষে পেনাল্টি শ্যুট আউটের স্কোর ৫-৪।