লাল-হলুদ জার্সিতে খেলবেন সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের এই সদস্য!

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলার ফুটবলে (Bengal Football) এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। দেশের বড় বড় ক্লাবগুলোতে বাঙালি ফুটবলারদের (Bengal Footballer) সংখ্যা কমে যাচ্ছিল, এবং জাতীয়…

East Bengal FC Footballer Mohammad Rakip

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলার ফুটবলে (Bengal Football) এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। দেশের বড় বড় ক্লাবগুলোতে বাঙালি ফুটবলারদের (Bengal Footballer) সংখ্যা কমে যাচ্ছিল, এবং জাতীয় দলের দলে বাঙালি ফুটবলারের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই ম্লান। কিন্তু সন্তোষ ট্রফি জয়ী (Santosh Trophy Champion) বাংলা দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে সেই সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে। প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলাররা উঠে এসেছেন এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইএসএল (ISL) এবং আই লিগের (I League) ক্লাবগুলোতে সুযোগ পেতে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে রবি হাঁসদা (Robi Hansda), মনতোষ মাঝি (Manotos Maji), বিক্রম প্রধান (Bikram Pradhan), নরহরি শ্রেষ্ঠার (Naro Hari Shrestha) মতো ফুটবলরারা। কেউ নাম লেখাবেন কিংবা লিখিয়ে ফেলেছেন কলকাতা ময়দানের প্রধান তিন ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC), মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG) এবং মহামেডান এসসি (Mohammedan SC)।

নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ড্র করে এই বিষয়ে ভাবাচ্ছে চেরনিশভকে

   

দীর্ঘ আট বছর পর সন্তোষ ট্রফির শিরোপা জয়ের মধ্যে দিয়ে বাংলার ফুটবলে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। ভারতের ফুটবল ইতিহাসে সন্তোষ ট্রফি এক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট এবং বাংলার ফুটবলাররা আবারও এই ট্রফির শিরোপা জিতে প্রমাণ করেছেন তাদের শক্তি ও প্রতিভার। গত ৩১ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে বাংলার ফুটবল দল কেরালাকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে। এই জয়ের সঙ্গে বাংলা ফুটবল দলের জন্য এক নতুন আশা জন্মেছে, কারণ আট বছর পর এই টুর্নামেন্টের শিরোপা দখল করল বাংলা।

সিডনি টেস্টে বিরাট ধাক্কা! চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন বুমরাহ, দ্রুত পাঠানো হল হাসপাতালে

যার ফলে এখন, বাংলার ফুটবলে ফের আগের ঐতিহ্য ফিরে আসছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মতো বড় ক্লাবগুলো বাংলার ফুটবলারদের প্রতি আগ্রহী হয়েছে। তাদের দলে জায়গা দেওয়ার জন্য নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করেছে। বাংলার ফুটবলাররা যখন এমন উচ্চ মানের প্রতিযোগিতায় নিজেদের সাফল্য দেখায়, তখন দেশের অন্যান্য ফুটবল ক্লাবগুলোও তাদের দিকে নজর দেয়। বাংলার ফুটবল এরই মধ্যে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে, এবং এটা পুরো ভারতীয় ফুটবলের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক চিহ্ন।

বাংলা দলের কোচ সঞ্জয় সেনের তত্ত্বাবধানে এই শিরোপা জয়কে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করছেন বিশেষজ্ঞরা। সঞ্জয় সেন এক দীর্ঘসময় ধরে বাংলার ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছেন এবং তাঁর কৌশল ও পরিকল্পনায় সফলভাবে এগিয়েছে বাংলা ফুটবল। তাঁর অধীনে, বাংলার তরুণ ফুটবলাররা নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে, সাফল্য অর্জন করেছে।

বেঙ্গালুরু ম্যাচের আগে কী বললেন খালিদ জামিল?

ফাইনালে বাংলা দলের জয়ের মূল কৌশল ছিল প্রতিপক্ষের খেলার প্রতিটি দিক নজরে রেখে পরিকল্পনা তৈরি করা এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা। সেই পরিকল্পনা ছিল খুবই সুচিন্তিত এবং বাস্তবায়নও ছিল চমৎকার। বাংলার খেলোয়াড়রা ফাইনালে একত্রিত হয়ে যে ভাবে খেলেছে, তা দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবে, বাংলার ফুটবলে নতুন জীবন সঞ্চারিত হয়েছে। বাংলার জয়ের অন্যতম মুখ ছিলেন রবি হাঁসদা, যিনি ফাইনালে গোল করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

রবি হাঁসদার ১২ গোল করা এবং সোনার বুট জেতা একটি বিশাল অর্জন, যা সন্তোষ ট্রফির ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। তাঁর এই অসাধারণ পারফরম্যান্স ফুটবলপ্রেমীদের মনে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া ফেলেছে। তিনি এই শিরোপা জয়ী বাংলা দলের সেরা ফুটবলার ছিলেন, এবং তাঁর খেলা ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এক নতুন উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এখন রবি হাঁসদাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে আইএসএলের দুই বৃহৎ ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে।

দেশের এই তরুণ ডিফেন্ডারকে দলে টানছে হায়দরাবাদ এফসি

পাশাপাশি এতদিন বিক্রম প্রধানকে দেখা যেত ভবানীপুর দলের হয়ে ফুটবল খেলতে। এবার জানা যাচ্ছে আইএসলের চলতি মরসুমে তাঁকে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে দৌড়াতে দেখা যেতে পারে। এই পরিস্থিতি বাংলার ফুটবল ইতিহাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রমাণ করে যে বাংলার ফুটবলাররা আবারও জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বেহালায় সৌরভ-তনয়া সানার গাড়িতে বাসের ধাক্কা

বাংলার ফুটবলের সাফল্যের পথে অনেক বাধা রয়েছে, তবে বর্তমান সময়ে বাংলার ফুটবল দল তাদের শক্তি ও প্রতিভার প্রমাণ রেখেছে। এই সাফল্য শুধু বাংলার ফুটবল দলকেই নয়, পুরো দেশের ফুটবল সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে। বাংলার ফুটবলাররা আবারও জাতীয় দলের মুখ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশের অন্যান্য ফুটবল ক্লাবও তাদের মধ্যে নজর দেবেন।