ফাইনালে উঠে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগ চ্যাম্পিয়ন পাঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রশিক্ষক শঙ্করলাল চক্রবর্তী (Sankarlal Chakraborty)। ম্যাচের পর জানিয়েছেন কোন মন্ত্রে নিস্তেজ করেছেন মশাল বাহিনীর তেজ।
Mohun Bagan: আরো এক ট্রফি জয়ের দোরগোড়ায় মোহনবাগান
ম্যাচের শুরুর দিকে দাপট দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। চাপে পড়তে শুরু করেছিল পাঞ্জাব এফসি। ঠান্ডা মাথার কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী তাড়াহুড়ো না করে পর্যবেক্ষণ করে চলেছিলেন ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গল কোথাও এগিয়ে, আর নিজের দলের ছেলেরা কোথাও পিছিয়ে সেটা ভেবে বের করেন সাইড লাইনের ধারে। বিরতিতে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে দেন দ্বিতীয়ার্ধ্বে কেমনভাবে খেললে পিছু হঠবে লাল হলুদ ব্রিগেড। কোচের কথা মতো মাঠে নেমে নীল নকশা বাস্তবায়ন করেন পাঞ্জাব এফসির জুনিয়র ছেলেরা। কেল্লা ফতে। রিলায়েন্স ফাইন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগ জিতে নেয় পাঞ্জাব এফসি।
কী করে ঘোরালেন ম্যাচের মোড়? খেলা শেষে শঙ্করলাল জানিয়েছেন, “প্রথমার্ধের পর আমি আমার ছেলেদের ওপর কোনো চাপে দিইনি। ম্যাচটি উপভোগ করতে বলেছি। প্রথমার্ধে লক্ষ্য করেছি যে আমাদের ছেলেরা আক্রমণকে নিজেদের অর্ধের বাইরে নিয়ে যেতে পারছিল না। এবং ইস্টবেঙ্গল চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি আমার ছেলেদের দ্রুত এবং নিজেদের মধ্যে ছোটো পাস খেলতে বলেছিলাম, এটি আমাদের জন্য কাজ করেছে।”
Mohun Bagan: চল্লিশ বছর বয়সেও গোল করে চলেছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার
তাঁর মতে, “দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল ছিল এটি। এরকম একটি ম্যাচে কোন দল কেমন পরিবর্তন নিচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, পরিবর্তনগুলো আমাদের পক্ষে কাজে লেগেছে। এছাড়াও কোচ হিসাবে আমার কাজ দলকে কৌশলগতভাবে সমর্থন করা যা আমি করেছি। তবে এর কৃতিত্ব খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ এবং পাঞ্জাব এফসি-র প্রত্যেক সদস্যদের। পাঞ্জাব এফসির যুব সেট আপ এবং কাঠামো রয়েছে যা বিশ্বমানের এবং ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা।”