হংকং ম্যাচ ঘিরে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ‘ফাঁস’ করলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান

এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাইপর্বের (AFC Asian Cup 2027 Qualifier) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হংকং (Hong Kong) বিপক্ষে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতের ফুটবল দল (Indian Football Team)। এই…

Sandesh Jhingan said Indian Football Team not resting on past laurels

এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাইপর্বের (AFC Asian Cup 2027 Qualifier) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হংকং (Hong Kong) বিপক্ষে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতের ফুটবল দল (Indian Football Team)। এই ম্যাচের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের পর, অনেকেই ২০২২ সালে কলকাতায় হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে ভারতের জয় মনে করিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু ব্লু টাইগার্সরা জানিয়ে দিয়েছেন, সেই জয় এখন শুধুই ইতিহাস। সামনে তাকানোর সময় এখন, আর সেই লক্ষ্যেই চলছে তাদের কঠোর প্রস্তুতি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় হংকং জকি ক্লাব এইচকেএফএ ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারে প্রথম অনুশীলন সেশন সম্পন্ন করেছে ভারতীয় দল। শনিবার এবং রবিবার তারা অনুশীলন করবে সিউ সাই ওয়ান স্পোর্টস গ্রাউন্ডে। ম্যাচের আগের দিন অর্থাৎ সোমবার, নতুন নির্মিত ৫০,০০০ দর্শক ক্ষমতাসম্পন্ন কাই টাক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে অফিসিয়াল ট্রেনিং সেশন। ১০ জুন, এই স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে ভারত বনাম হংকং মধ্যে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি।

   

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ০-২ ব্যবধানে হারের পর ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় দল, তবে তাদের আত্মবিশ্বাসে ভাঁটা পড়েনি। অধিনায়ক সন্দেশ ঝিঙ্গান (Sandesh Jhingan) জানিয়েছেন, পুরো দল এখন শুধুই সামনে তাকাচ্ছে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহের লক্ষ্যেই অনুশীলন করছে।

তিনি বলেন, “থাইল্যান্ড ম্যাচের পর যখন আমরা হংকং এসে পৌঁছালাম, তখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল রিকভারি। তবে, কলকাতায় ১৮ই মে ক্যাম্প শুরু হওয়ার পর থেকেই মূল ফোকাস ছিল হংকং ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনার দিকে। আমাদের ট্রেনিং সেশনের প্রতিটি মুহূর্ত আমরা কাজে লাগাচ্ছি যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে আমরা ম্যাচে সেরা অবস্থায় থাকতে পারি।”

থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের পর দল কীভাবে উন্নতির চেষ্টা করছে, তা নিয়েও খোলামেলা বক্তব্য দেন ঝিঙ্গান। তিনি বলেন, “দুই বক্সে আমাদের আরও সিদ্ধান্তমূলক ও কার্যকর হতে হবে। সবার আগে, রক্ষণভাগে আমাদের আরও মজবুত হতে হবে। যদি ডিফেন্স ভালো থাকে, তাহলে আক্রমণের সুযোগও বেশি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, ফিনিশিংয়ে আরও ক্লিনিকাল হতে হবে।”

তবে শুধুই নেতিবাচক নয়, থাইল্যান্ডের ম্যাচ থেকেও কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “প্রতিটি ম্যাচ থেকেই শেখার কিছু থাকে। ভালো-মন্দ দুটোরই বিশ্লেষণ করে আমরা নিজেদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করছি।”

Advertisements

হংকংয়ের বিরুদ্ধে শেষবারের ম্যাচের স্মৃতি উজ্জ্বল হলেও, সন্দেশ ঝিঙ্গান মনে করিয়ে দিলেন, এখনকার হংকং দল একেবারেই আলাদা এবং সেই জয়কে মাথায় রেখে এগোনো উচিত নয়।

তিনি বলেন, “ফুটবলে কখনও অতীতের গৌরবে ভর করে চলা যায় না। আমি এখনও মনে করতে পারি ২০২২ সালের ৪-০ জয়, কিন্তু সেটা এখন অতীত। তারা এখন অনেক উন্নত দল, এবং আমাদেরও সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা জানি এই ম্যাচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই অনুযায়ীই এগোচ্ছি।”

এই ধরনের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে ভারতীয় দল আর অতীতের জয়কে সামনে রেখে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না। বরং, তারা নিজেদের নতুন করে গড়ে তুলতে চাইছে — নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে, তা কাটিয়ে উঠে উন্নতির পথে এগোতে চাইছে।

১০ই জুন, নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে প্রস্তুত ব্লু টাইগার্সরা। এবার দেখা যাক, তারা নিজেদের পুরনো সাফল্য পুনরাবৃত্তি করতে পারে কি না, নাকি হংকং, চীন নেবে প্রতিশোধ।