দল গঠনের কাজ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত করে ফেলেছে অধিকাংশ ফুটবল ক্লাব। এবারের টুর্নামেন্ট শুরু করার আগে প্রাক মরসুম প্রস্তুতি শুরু করার অপেক্ষা। তবে দল বদলের বাজারে এখনও যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে গোকুলাম কেরালা এফসি (Gokulam Kerala FC) । বিগত কিছু সপ্তাহে একের পর এক দাপুটে ফুটবলারদের চূড়ান্ত করেছে ম্যানেজমেন্ট। আসলে এবার চূড়ান্ত সাফল্য পেতে বদ্ধপরিকর দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। সেক্ষেত্রে আক্রমণভাগের পাশাপাশি দলের রক্ষণভাগকে ও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণের এই দল। সেইমতো মালেমঙ্গাম্বা সিং থেকে শুরু করে গুরসিমরত গিল’দের খেলোয়াড়রা যুক্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই।
তবে পরবর্তীতে আরও বেশকিছু ফুটবলারদের আনার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। দিনকয়েক আগেই সেইমতো ঘোষণা করা হয়েছে উইঙ্গার স্যামুয়েল কিনশির নাম। গত কয়েক ফুটবল সিজন ধরেই পাঞ্জাব এফসিতে নথিভুক্ত থাকলেও খুব একটা খেলার সুযোগ পাননি তিনি। যারফলে পরবর্তীতে লোনের মধ্যে দিয়ে আইলিগের ফুটবল ক্লাব রাজস্থান ইউনাইটেডে যোগদান করেছিলেন তিনি। সেখানেই খেলেছেন অনেক গুলি ম্যাচ। হিসাব অনুযায়ী এই মরসুম পর্যন্ত পাঞ্জাবের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও উভয়ের পারস্পরিক সম্মতিতে ছিন্ন হয়েছে সেই সম্পর্ক। বছর কয়েক আগে শিলং লাজং এফসির যুব দল থেকে উঠে এসেছিলেন এই উইঙ্গার।
পরবর্তীতে কেরালা ব্লাস্টার্সের যুব দল হয়ে ফের এসেছিলেন আইলিগে। খেলেছেন রিয়াল কাশ্মীরের মতো ফুটবল দলে। বলাবাহুল্য, আইলিগে যথেষ্ট নজর কাড়লে ও আইএসএলে খুব একটা সুবিধা করে নিতে পারেননি তিনি। যারফলে তাঁকে রিলিজ করতে খুব একটা অসুবিধা ছিল না পাঞ্জাব ম্যানেজমেন্টের। শেষ পর্যন্ত আবার ফিরলেন আইলিগে। এই নয়া ফুটবল সিজনে নিজের হারানো ফিরিয়ে এনে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়াই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ তাঁদের কাছে। উল্লেখ্য, শেষ কিছু মরসুম ধরেই খুব একটা ছন্দে নেই গোকুলাম কেরালা এফসি। গত মরসুমে দাপটের সাথে ফুটবল খেললে ও চূড়ান্ত সাফল্য আসেনি।
এবার লিগ জয় করতে মরিয়া দক্ষিণের এই ফুটবল দল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ” এই দলে যোগদান করাটা আমার কাছে দারুন অনুভূতি। এটি সবসময়ই আই-লিগের সেরা পারফর্মিং দলগুলির মধ্যে একটি। যখনই আমি তাদের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেয়েছি তখনই ক্লাবটি একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল, এবং আমি বিশ্বাস করি এরা শীর্ষে থাকার অধিকারী। এই সিজনে একসাথে আমরা ট্রফি জিততে চাই।”