দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার (DDCA) সভাপতি (President) পদের নির্বাচনে ঘটল অঘটন। ৮০০ ভোট পরাজিত হলেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য তথা বর্তমানে রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ (TMC MP) কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। ১৫৭৭ ভোট পেয়ে ফের দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদে বসলেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুন জেটলির (Arun Jaitley) পুত্র রোহন জেটলি (Rohan Jaitley)।
এবারের নির্বাচনে ৩৭৪৮ জন সদস্যের মধ্যে ২৪১৩ জন ভোট দিয়েছিলেন। ভোটের মাধ্যমে প্রার্থীদের জন্য ১২০৭ ভোটের প্রয়োজন ছিল জয়ী হতে। রোহন জেটলি এই নির্বাচনে ১৫৭৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন, যেখানে কীর্তি আজাদ পান মাত্র ৭৭৭ ভোট। এর মাধ্যমে তিনি আগামী তিন বছর ধরে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির পদে বহাল থাকবেন। ২০২০ সালে রজত শর্মার পদত্যাগের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল রোহন জেটলি। তবে পরবর্তীকালে ২০২১ সালে তিনি আইনজীবী বিকাশ সিংকে পরাজিত করে তিন বছরের জন্য পুনরায় নির্বাচিত হন।
এই জয়ের পেছনে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন অস্থায়ী সভাপতি সিকে খান্না, যিনি দিল্লির ক্রিকেটের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। জানা গিয়েছে তিনি ১০০০ ভোটের বেশি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তাঁর সমর্থন রোহনকে বিজয়ী করতে সহায়ক ছিল। এই নির্বাচনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র শুধুমাত্র প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং দিল্লি ক্রিকেটের অঙ্গনে শক্তিশালী সমর্থন ও ভিত্তি গড়ে তুলেছেন।
এছাড়া দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সিকে খান্নার কন্যা শিখা কুমার। তিনি রাকেশ কুমার বংসল (৫৩৬) এবং সুধীর কুমার আগরওয়ালকে (৪৯৮)পরাজিত করে ১২৪৬ ভোট পেয়ে এই পদে বিজয়ী হন। এছাড়া অশোক শর্মা (৮৯৩) নির্বাচিত হয়েছেন এই বোর্ডের সচিব পদে। এই সকল নির্বাচিত কর্মকর্তারা আগামী তিন বছরের জন্য তাঁদের পদেই বহাল থাকবেন।
যদিও গত সপ্তাহে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন কীর্তি। দাবি করেছিলেন, বোর্ডের থেকে পাওয়া ১৪০ কোটি টাকার সামান্যই ক্রিকেটের জন্য খরচ করেছে দিল্লি। এও অভিযোগ করেছিলেন যে, ফ্লাডলাইট বসাতে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা, যেখানে অনেক বড় মাঠ আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাড়ে সাত কোটি টাকায় একই কাজ হয়েছে।