গতকাল রাতে আকাশ মাধওয়ালে (Akash Madhwal) মজে ছিল চিদম্বরমের দর্শক। মুম্বই ইন্ডিয়ানস বনাম লখনউ সুপার জায়ান্স ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় একা হাতে ধূলিসাৎ করে লখনউএর ব্যাটিং।
এলিমিনেটর ম্যাচে ৩ ওভার ৩ বলে মোটে পাঁচ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। নাম লেখান মুম্বই কিংবদন্তি অনিল কুম্বলে ও যশপ্রীত বুমরার ঠিক তলায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে চার বছর আগে তিনি টেনিস বলে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। উত্তরাখন্ডের আকাশ তখন ছুঁয়েও দেখেননি লাল বল।
ইঞ্জিনিয়ারিংও পড়েছেন আকাশ। উত্তরাখন্ড থেকে এই প্রথমবার কেউ আইপিএলে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে পেরেছেন- ২০২২ এ চোট পাওয়া সুর্য কুমার যাদবের পরিবর্তে আকাশকে নেওয়া হয়েছিল মুম্বই শিবিরে।
২০১৯ সালে উত্তরাখন্ডের তৎকালীন কোচ ওয়াসিম জাফর ও পরে মনিশ ঝাঁ- এর চোখে পড়েন আকাশ। সেই শুরু লাল বলে অনুশীলন। তার পর থেকে জীবনে উৎরাই-ই দেখছেন আকাশ। ২০২৩ সালে প্রথম বার এই ফাস্ট বোলার আকাশ মাধওয়াল তার নিজের রাজ্য উত্তরাখন্ড দলের হয়ে সাদা বলের ঘরোয়া ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন।
ভারতের জাতীয় পুরুষ দলের উইকেট কিপার রিশভ পন্থের সাথেও অদ্ভুত সংযোগ আছে আকাশ মাধওয়ালের। দুজনেই উত্তরাখন্ডের একই জায়গা থেকে এসেছেন। আকাশ সেই অবতার সিংহের কাছেও অনুশীলন করেছেন যিনি শুরুর দিকে রিশভকেও অনুশীলন করিয়েছিলেন। পরে অবশ্য রিশভ উত্তরাখন্ড ছেড়ে চলে যান দিল্লি।
গতকাল ম্যাচের পর রোহিতও আকাশকে নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। রোহিত বলেন, “ও (আকাশ) গত বছর একজন সাপোর্ট বোলার হিসেবে দলের ছিল। তার ওপর এবার জোফরাও চলে গেলেন। আমি তখনই জানতাম যে আমাদের হয়ে কাজটি করার জন্য আকাশের দক্ষতা এবং চরিত্র, দুটোই রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আমরা দেখেছি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে অনেক ছেলেরা এসেছে এবং ভারতের হয়ে তারা খেলছেও।”
লখনউকে হারিয়ে মুম্বই ফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল। পরের প্রতিযোগী গুজরাট টাইটানস। খেলবেন আগামীকাল আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যে ০৭:৩০ থেকে।