শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ২০২৩- এ ছিল ঘটনার ঘনঘটা। হাই প্রেসার ম্যাচ এবং ক্রমাগত বৃষ্টির ব্যাঘাতের মধ্যে টুর্নামেন্ট চালানো হয়েছে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। যারা না থাকলে ম্যাচ খেলাই হয়তো সম্ভব হতো না, সেই গ্রাউন্ডস্টাফদের কুর্ণিশ জানাচ্ছেন আপামর ক্রিকেট প্রেমীরা।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার এশিয়া কাপের ফাইনালটি ম্যাচেও বৃষ্টি এবং ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ৪০ মিনিট বিলম্বিত হয়েছিল। তবে প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও মাঠ প্রস্তুত রেখেছিলেন গ্রাউন্ডস্টাফরা। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ গ্রাউন্ডসম্যানদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন। জয় শাহ লিখেছেন, “ক্রিকেটের নেপথ্য নায়কদের জন্য বড় ঘোষণা! এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) কলম্বো এবং ক্যান্ডিতে নিবেদিত কিউরেটর এবং গ্রাউন্ডসম্যানদের জন্য ৫০,০০০ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত।”
“তাদের অবিচল অঙ্গীকার ও কঠোর পরিশ্রম ২০২৩ সালের এশিয়া কাপকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছেন। পিচ পারফেকশন থেকে শুরু করে সবুজ আউটফিল্ড পর্যন্ত তারা রোমাঞ্চকর ক্রিকেট অ্যাকশনের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। টুর্নামেন্টের সাফল্যের পিছনে থাকেনএই ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বারবার বলতে হয়।”
🏏🏟️ Big Shoutout to the Unsung Heroes of Cricket! 🙌
The Asian Cricket Council (ACC) and Sri Lanka Cricket (SLC) are proud to announce a well-deserved prize money of USD 50,000 for the dedicated curators and groundsmen at Colombo and Kandy. 🏆
Their unwavering commitment and…
— Jay Shah (@JayShah) September 17, 2023
টুর্নামেন্টের সুপার ফোর পর্বের সময় গ্রাউন্ডস্টাফদের প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। তারা মাঠ থেকে দ্রুত জল নিষ্কাশনের জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন। সুপার সোপারসের মতো প্রযুক্তির উপর নির্ভর করার পরিবর্তে, যা ধীরে ধীরে চলে এবং অল্প জল শোষণ করে, তারা পুরনো পন্থাকে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাক লাগিয়ে গিয়েছিলেন। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। আউটফিল্ড, পিচ শুকনো রাখার জন্য বিন্দু মাত্র অপেক্ষা করেননি এশিয়া কাপ ২০২৩- এর মাঠ কর্মীরা।