ভারত-পাক ম্যাচের রোমাঞ্চকে টেক্কা দিল আরসিবি-পাঞ্জাব আইপিএল ফাইনাল!

৩ জুন, ২০২৫—এই দিনটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) জন্য ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা হয়ে গেল। ১৮ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা, ক্রমাগত মিম, এবং “ঈ সালা…

RCB vs Punjab Kings

৩ জুন, ২০২৫—এই দিনটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) জন্য ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা হয়ে গেল। ১৮ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা, ক্রমাগত মিম, এবং “ঈ সালা কাপ নামদে” স্লোগানের পর, অবশেষে আরসিবি তাদের প্রথম আইপিএল ট্রফি জিতল। এই জয় শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি ছিল এক ডিজিটাল ঝড় যা ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। এমনকি এই ফাইনালের দর্শকসংখ্যা ভারত-পাকিস্তানের আইসিসি ম্যাচকেও ছাড়িয়ে গেছে।

কোহলির আবেগ ও ভক্তদের উচ্ছ্বাস
আইপিএল জিতে বিরাট কোহলি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন”আমি এই দলের জন্য আমার যৌবন, আমার সেরা সময়, সবকিছু দিয়েছি। অবশেষে এই মুহূর্ত এসেছে।” ভক্তরা শুধু ম্যাচ দেখেননি, তারা তাদের উপস্থিতি দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন। আহমেদাবাদের মাঠে এবং দেশজুড়ে টিভি ও মোবাইলের পর্দায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।

   

পাঞ্জাব কিংসের পতন ও ভিউয়ারশিপের উত্থান
ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। পাঞ্জাব কিংসের (PBKS) উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকসংখ্যা আকাশচুম্বী হয়। প্রভসিমরনের উইকেট পড়ার সময় দর্শকসংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ১৪তম ওভারে ৫৫ কোটি থেকে ম্যাচের শেষের দিকে ৬৩ কোটি দর্শক পর্দার সামনে আঁটকে থাকেন। আর যখন আরসিবি জয় নিশ্চিত করে, তখন দর্শকসংখ্যা ৬৭.৮ কোটিতে পৌঁছে যায়। এই সংখ্যা ভারত-পাকিস্তান আইসিসি ম্যাচের সর্বোচ্চ দর্শকসংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায়।

জিওস্টারের হিসেবে একাধিকবার অ্যাপ খোলার ফলে ভিউয়ের সংখ্যা বাড়তে পারে। যেমন, কেউ যদি অ্যাপটি দশবার খোলে, তবে তা দশটি ভিউ হিসেবে গণনা হয়। তবুও এই সংখ্যা অভূতপূর্ব। এমনকি ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ৬.১ কোটি সমবর্তী দর্শকের তুলনায় এই ফাইনালের মোট ভিউ ছিল অসাধারণ।

Advertisements

আইপিএল ২০২৫: এক নতুন অধ্যায়
এই আইপিএল মরশুম নিয়মের বইটিকে নতুন করে লিখেছে। উদ্বোধনী সপ্তাহান্তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ৪,৯৫৬ কোটি মিনিট দেখা হয়েছে। প্রথম তিনটি ম্যাচে ১৩৭ কোটি ভিউ এবং ২,১৮৬ কোটি মিনিট দেখা হয়। টিভিতে ২৫.৩ কোটির বেশি মানুষ ম্যাচ উপভোগ করেছেন। সংযুক্ত টিভি (সিটিভি) দেখার পরিমাণ ৫৪% বেড়েছে।

১৮ বছর, ১৮তম মরশুম, জার্সিতে ১৮ নম্বর
১৮ বছরের অপেক্ষা, ১৮টি মরশুম, এবং বিরাট কোহলির জার্সিতে ১৮ নম্বর—সবকিছু যেন এক নিয়তির খেলায় মিলে গেল। আরসিবি’র এই জয় শুধু একটি ট্রফি নয়, এটি ছিল ভক্তদের আবেগ, আশা, এবং বিশ্বাসের জয়। ক্রিকেটপ্রেমী বিশ্ব এই মুহূর্তটি বারবার দেখেছে, উদযাপন করেছে, এবং এই গল্পকে অমর করে রেখেছে।