Qatar WC: বিশ্বকাপে এশিয়ার গর্জন, আর্জেন্টিনাকে হারাল সৌদি আরব

বিশ্বকাপে সবথেকে বড় চমক। এশিয়ার গর্জন। সৌদি আরব লিখল ইতিহাস। পরাজিত আর্জেন্টিনা।  ‘শেষের শুরু’ এভাবেই দেখা হচ্ছে লিওনেল মেসির  (Lionel Messi) এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ অভিযানকে।…

বিশ্বকাপে সবথেকে বড় চমক। এশিয়ার গর্জন। সৌদি আরব লিখল ইতিহাস। পরাজিত আর্জেন্টিনা। 
‘শেষের শুরু’ এভাবেই দেখা হচ্ছে লিওনেল মেসির  (Lionel Messi) এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ অভিযানকে। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে তিনি নিজের শেষ বিশ্বকাপ (Qatar WC) খেলার শুরুটা করলেন। গোল করলেন। কিন্তু কাতারের মাঠে (Argentina) আর্জেন্টিনা ও (Saudi Arabia) সৌদি আরবের লড়াইতে মরুঝড় তুলল আরবরা। 

Messi r maradona

কাতার বিশ্বকাপে মেসি নন সৌদি আরব দেখাল ম্যাজিক। খেলার শেষ বাঁশি বাজতেই পুরো আরব মুলুক জুড়ে উল্লাস। আর্জেন্টিনাকে হারানোর আনন্দে মাতোয়ারা সৌদি আরববাসী। যদিও আর্জেন্টিনার এই পরাজয়কে অঘটন বলছেন অনেক বিশষজ্ঞ। ধারে ভারে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার পরাজয়ে বিশ্ব ফুটবল প্রেমীরা হতবাক। তেমনই সৌদি আরবের জয়ে এসেছে শুভেচ্ছা।

লিওনেল মেসির গোলে ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় আর্জেন্টিনা। কাতারের সবচেয়ে বড় লুসাইল স্টেডিয়ামে এর পরেই নজির। দুটি গোল করে সৌদি আরব জয়ের পথে এগিয়ে যায়। খেলা শেষে তারা জয় ধরে রাখে।

৫১ বনাম তিনের লড়াই। মেসি-ডি মারিয়া বনাম তুলনামূলক অনামী তারকাদের লড়াই। এককথায় এ যেন ডেভিড বনাম গোলিয়াথের অতি অসম লড়াই। কিন্তু ৯০ মিনিটে যে কোনওরকম অঘটন যে সম্ভব, সেটাই প্রমাণ করে দিল সৌদি আরব। লাতিন আমেরিকার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়ে রেনার্ডের ছেলেরা গোটা দুনিয়াকে যেন বার্তা দিলেন, বিশ্ব মঞ্চে কোনও দলকেই খাটো করে দেখলে চলে না।

মেসির শেষ বিশ্বকাপে রূপকথার কাহিনি রচনা করবে আর্জেন্টিনা। সে অপেক্ষাতেই এদিন একবুক আশা নিয়ে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই যে এমন অঘটন ঘটবে, তা হয়তো আর্জেন্টিনা দলের অতি বড় শত্রুও কল্পনা করেননি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গত ৬ দশকে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর কখনও ম্যাচ হারেনি লা আলবেসেলেস্তা। কিন্তু এদিন পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পরও জয় উপহার দিতে ব্যর্থই হলেই মেসি।

এ যেন সত্যিই এক অন্য বিশ্বকাপ। যেখানে শীতকালে গ্যালারি ভরাচ্ছেন দর্শকরা। মাঠ ও মাঠের বাইরে একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছে আয়োজকরা। আর সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে মুথ থুবড়ে পড়লেন মেসিরা। এদিন শুরুতে বল পজেশনে অনেকটাই এগিয়ে ছিল স্কালোনির দল। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়েও দেন মেসি। কিন্তু অফসাইডের গেরোয় আটকে যায় স্কোরবোর্ড। প্রথমার্ধের তিন-তিনটে গোল বাতিল করেন রেফারি। আর দ্বিতীয়ার্ধে যাবতীয় লাইমলাইট নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন সৌদির ছেলেরা। প্রথমে সালেহ, তারপর সালেম। অনবদ্য দুই গোলে লুসেইল স্টেডিয়ামে রচিত হল নয়া ইতিহাস। মরুঝড়ে নিশ্চুপ মহাতারকা মেসি।