বিগত কয়েক বছর ধরেই ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে আসছেন পিভি বিষ্ণু (PV Vishnu)। গত ২০২৩-২০২৪ মরসুমে মুথূট ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে তাঁকে দলে টেনে ছিল ময়দানের এই প্রধান। তারপর বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে রিজার্ভ দলের হয়ে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন কেরালার এই ফুটবলার। যারফলে সিনিয়র দলে সুযোগ করে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত থেকে শুরু করে বর্তমানে অস্কার ব্রুজন। প্রত্যেকের কাছেই তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে প্রথম পছন্দ হিসেবে উঠে এসেছেন বিষ্ণু।
গত সিজনে দলের পারফরম্যান্স খুব একটা আহামরি না হলেও একক দক্ষতায় তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সকল ফুটবলপ্রেমীদের। যারফলে একটা সময় এই তরুণ উইঙ্গারকে দলে টানতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের একাধিক ফুটবল ক্লাব। সেক্ষেত্রে বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল পড়শী ক্লাব তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের নাম। কিন্তু না। শেষ পর্যন্ত লাল-হলুদেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণের এই ফুটবলার। তারপর গত কয়েক সপ্তাহ আগেই তাঁর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন করে ইস্টবেঙ্গল। যারফলে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত মশাল ব্রিগেডের জার্সিতেই খেলতে দেখা যাবে আপফ্রন্টের এই ফুটবলারকে।
গতবারের মতো এবারও নিজেকে মেলে ধরতে বদ্ধপরিকর বছর তেইশের এই ফুটবলার। নিজের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের জন্যই এবছর নিজেদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তরুণ প্রতিভা হিসেবে তাঁকে জীবন চক্রবর্তী মেমোরিয়ালে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেটাই হয়েছে এবার। প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন বিকেলে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কক্ষে তাঁকে সম্মানিত করে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। সেই নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছসিত লাল-হলুদের এই ফুটবলার। এই পুরষ্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ক্লাবের তরফে আমাকে এই সম্মানে সম্মানিত করার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি এই পুরস্কার পেয়ে যথেষ্ট খুশি।”
আরও বলেন, ” আমার দলের সকল সতীর্থ ফুটবলার সহ কোচ ও সকল সমর্থকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। দলের সমর্থকদের জন্যই আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। লাল-হলুদ জার্সিতে সব সময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এবং দলের প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করছি।” এই নতুন সিজনে নিজেকে আদৌও কতটা মেলে ধরতে পারেন এখন সেটাই দেখার।