আগের মরসুম থেকেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অংশগ্রহণ করে আসছে পাঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। সেবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ও সুপার সিক্স নিশ্চিত করতে পারেনি আইলিগ জয়ী এই ফুটবল দল। সেই হতাশা কাটিয়েই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছিল পাঞ্জাবের এই ফুটবল ক্লাবের। সেইমতো আমূল বদল দেখা গিয়েছিল দলের অন্দরে। পুরনো কোচের পরিবর্তে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গ্ৰীক কোচ প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসকে। সেইসাথে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয় একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারকে। যাদের সঙ্গে নিয়ে এই সিজনে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব।
বলাবাহুল্য, দেশের প্রথম ডিভিশনের এই ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই তাঁদের দাপট নিঃসন্দেহে চাপে ফেলে দিয়েছিল একের পর এক হেভিওয়েট দলকে। কিন্তু সময় এগোনোর সাথে সাথেই বদলাতে শুরু করে গোটা পরিস্থিতি। বিগত বেশ কয়েকটি ম্যাচে এগিয়ে থেকেও জোর ধাক্কা খেতে হয় দলকে। যারফলে, একটা সময় পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চারের মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও সেখান থেকে অনেকটাই নিচে নেমে আসতে হয় লুকা মাজসেনদের। আসলে চোটের পাশাপাশি কার্ড সমস্যার দরুন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাননি ডিলমপেরিস।
স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছিল পারফরম্যান্সে। এই সব দিক মাথায় রেখেই মরসুমের উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে দলের মধ্যে কয়েকটি বদল আনার পরিকল্পনা করেছিল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসেনি সাফল্য। আইএসএলের পর সুপার কাপ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সকলে। কিন্তু নক আউটেই ছিটকে যেতে হয়েছিল দলকে। এই ধাক্কা কাটিয়ে এখন থেকেই আগামী মরসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পাঞ্জাব। এক্ষেত্রে দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারদের দিকেও নজর রয়েছে পাঞ্জাবের। যার মধ্যে এবার উঠে আসতে শুরু করেছে রুবেন হুগেনহাউটের নাম।
বর্তমানে সাইপ্রাসের ফুটবল ক্লাব এনোসিস নিয়ন প্যারালিমনিওর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই ডাচ ডিফেন্ডার। পূর্বে অ্যাজাকস থেকে শুরু করে ইয়ং এফসি উট্রেখ্ট এর মতো ফুটবল ক্লাবে খেলেছেন এই তারকা। নয়া আইএসএল সিজনে তাঁকেই দলে টানতে চাইছে পাঞ্জাব এফসি। সেইমতো কথাবার্তা ও নাকি এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। শেষ পর্যন্ত আদৌ তিনি ভারতে আসেন কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।