অনবদ্য পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু করেছিল পাঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। প্রথম ম্যাচে অনায়াসেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল মিকেল স্ট্যাহরের কেরালা ব্লাস্টার্সকে। বলতে গেলে শুরু থেকেই অনবদ্য পারফরম্যান্স করে আসছেন লুকা মাজসেন। মাঝে চোটের কবলে পড়তে হলেও পরবর্তীতে সেই সমস্যা কাটিয়ে ফিরে আসেন খেলার মাঠে। তবে একটু ও কমেনি তাঁর সক্রিয়তা। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে আসছেন এই তারকা ফুটবলার। তবে গত ম্যাচেই ধাক্কা খেতে হয়েছিল জামশেদপুর এফসির কাছে।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে মঙ্গলবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল পাঞ্জাবের এই ফুটবল ক্লাব। সেইমতো নিজেদের একাদশ সাজিয়েছিলেন গ্ৰীক কোচ প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিস। চোট আঘাতের পাশাপাশি দলের ফুটবলারদের কার্ড সমস্যা থাকায় এদিন লাল-হলুদের মাঝমাঠে দেখা যায়নি মাদিহ তালাল থেকে শুরু করে জিকসন সিংয়ের মতো ফুটবলারদের। যা বাড়তি অ্যাডভান্টেজ দিয়েছিল পাঞ্জাব ফুটবল দলকে। প্রথমার্ধেই আজমির সুলজিক এবং ফুলগা ভিদালের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পাঞ্জাব এফসি।
পরবর্তীতে অর্থাৎ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। হিজাজি মাহের থেকে শুরু করে পিভি বিষ্ণু এবং ডেভিড লালহানসাঙ্গার মতো ফুটবলারদের অনবদ্য গোলে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয় আইএসএলের এই ফুটবল দলকে। যারফলে একটা সময় দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হয় সেই দুই গোলেই। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছে পাঞ্জাব দলের ফুটবলারদের।
দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিলমপেরিস বলেন, “প্রথমার্ধে ছেলেরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছে। আমরা তিন থেকে চারটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। আমরা মাত্র দুটো গোল করতে পেরেছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ক্ষেত্রে আমার কাছে কোনও ব্যাক্ষা নেই। বিশেষ করে তাঁরা হেড থেকে যেভাবে গোল করে দলের ব্যবধান কমিয়ে ছিল। তারপর থেকেই আমাদের ছেলেরা অনেক কিছু ভুল করেছিল। তাঁরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ম্যাচে ফিরেছিল।”