আশা আকাঙ্খার মিশেল কলকাতার ফুটবল। প্রিয় দলের সঙ্গে যেমন জড়িয়ে থাকে ইতিবাচক ভাবনা, তেমনই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় দুর্ভাবনা। এবার মোহনবাগান (Mohun Bagan SG) যে দল গঠন করছে, এক কথা তা চোখে পড়ার মতো। ভারতীয় প্রতিভার পাশাপাশি দলে ইতিমধ্যে চূড়ান্ত একাধিক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিদেশি ফুটবলার। খাতায় কলমে দুরন্ত কোচিং স্টাফ। সব মিলিয়ে এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে অন্যতম সর্বাধিক আলোচ্য দল মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট।
ফুটবল বা খেলাধুলা যারা ফলো করেন তারা জানেন যে খাতায় কলমে স্কোয়াড যেমনই হোক না কেন, শেষ কথা বলবে মাঠের পারফরম্যান্স। বুধবার মোহন বাগান সুপার জায়ান্টের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ফরোয়ার্ড কামিন্সের আগমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি নিশ্চিত করা হয়েছে বিদেশি ফরোয়ার্ড সাদিকুর সই। সদিকু, কামিন্সের সঙ্গে আক্রমণভাগে থাকছেন দিমি পেত্রতস। গতবার কোনো বিদেশি স্ট্রাইকার ছাড়াই দল সাজিয়েছিলেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দ। খুব একটা কাজে আসেনি তার পরিকল্পনা। দিমি জ্বলে না উঠলে বাগানের ফল কেমন হতে পারতো সেটা এখন বলা মুশকিল।
ভারতীয় ফুটবল লীগ খেলার পাশাপাশি এশিয়ান টুর্নামেন্টে দল নামবে মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট। সেই কথা আরও মাথায় রেখে আক্রমণভাগে নেওয়া হয়েছে একাধিক তারকাকে। কোচকে নিশ্চিত করতে হবে দলের টিম কম্বিনেশন। ভারতীয় এবং বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে মেলবন্ধন গঠন করার চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে হুয়ানকে। আক্রমণভাগে বল সাপ্লাইয়ের কাজ সামলাতে হবে মাঝমাঠকে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে কার্ল ম্যাক হিউ নিশ্চিত। অনিশ্চিত জনি কাউকো।
বড় টুর্নামেন্ট জেতার জন্য দলের প্রতি বিভাগে ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন। মোহন বাগান কি পারবে স্কোয়াডে ভারসাম্য বজায় রাখতে? প্রশ্ন থাকছে। একই সঙ্গে নজরে থাকবেন ইন্ডিয়ান সুপার লীগ জয়ী দুই প্রশিক্ষকের দিকে। একজন হুয়ান অন্যজন অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাস। হাবাস দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। দুই দুঁদে প্রশিক্ষক কি পারবেন তালমেল রেখে কাজ করতে? এই প্রশ্নও থাকবে।