World Cup Cricket: ক্রিকেট বিশ্বকাপে হামলার হুমকি দিল শিখ জঙ্গি সংগঠন

ক্রিকেট বিশ্বকাপে (World Cup Cricket) জঙ্গি হামলার হুমকি। এই হুমকি দিল ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস। হুমকি এসেছে ভারত সরকারের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি…

World Cup Cricket: ক্রিকেট বিশ্বকাপে হামলার হুমকি দিল শিখ জঙ্গি সংগঠন

ক্রিকেট বিশ্বকাপে (World Cup Cricket) জঙ্গি হামলার হুমকি। এই হুমকি দিল ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস। হুমকি এসেছে ভারত সরকারের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি নেতা গুরপতওয়ান সিং পান্নুন। এর আগেও বেশ কয়েকবার ভারতে হামলার হুমকি দেয় পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ উগ্র শিখ নেতা পান্নুন।

ICC ক্রিকেট বিশ্বকাপ 2023 ভারতে 05 অক্টোবর থেকে শুরু হবে। দশটি দেশ বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে। গত বছরের  ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে খেলবে। এই ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু। এর মাঝে খালিস্তানি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান গুরপতয়ান সিং পান্নুর কাছ থেকে হুমকি এসেছে। এই খালিস্তানি শিখ জঙ্গি নেতা টুর্নামেন্ট চলাকালীন আক্রমণের হুমকি দিয়েছে।পান্নুকে 2020 সালের জুলাইয়ে UAPA-এর অধীনে জঙ্গি ঘোষণা করে ভারত।

আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম 14 অক্টোবর এবং 19 নভেম্বর টুর্নামেন্টের মধ্যে আছে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ। বিশ্বকাপে হামলার হুমকি দিয়ে পান্নুর একটি কল রেকর্ডিং সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এই হামলার বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অটোয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে সরাসরি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে অসম্মান করার অভিযোগ করা হয়।  আরও বলা হয় “শহিদ নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে, আমরা আপনার বুলেটের বিরুদ্ধে ব্যালট ব্যবহার করতে যাচ্ছি। মনে রাখবেন, এই অক্টোবরে বিশ্বকাপ ক্রিকেট হবে না। এটি হবে বিশ্ব সন্ত্রাস কাপের সূচনা। ভাইরাল অডিওতে পান্নুকে বলতে শোনা যাচ্ছে ভারত এবং মোদী সরকার কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে অপমান করেছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে অসম্মান করার জন্য আমরা মোদী এবং রাষ্ট্রদূত ভার্মাকে দায়ী করতে যাচ্ছি। ভার্মাকে ফিরিয়ে আনা এবং অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

Advertisements

গত 18 জুন কানাডার একটি গুরুদোয়ারার বাইরে খালিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে এই হত্যার পিছনে দায়ী করেছেন। ভারত কঠোরভাবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।