প্রো কাবাডি লিগ (Pro-Kabaddi League) শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। পিকেএলের শুরু থেকেই মানুষ এই লিগকে খুব পছন্দ করতে শুরু করে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট নয়টি মরসুম হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে পিকেএল-এর দশম আসর অর্থাৎ প্রো কাবাডি লিগ। এই লিগের দশম মরসুমের আগেও মানুষের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ রয়েছে। অনেক খেলোয়াড় এই লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে মোস্ট ভ্যালুয়েবল অ্যাওয়ার্ড পেয়ে থাকেন। আজ এই প্রতিবেদনে পিকেএল-এর প্রতিটি সিজনের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড় সম্পর্কে জানান হল।
প্রো কাবাডি লিগের প্রথম মরসুম ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সময়ে ইউ মুম্বা তারকা অনুপ কুমার সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৬ ম্যাচে করেছেন ১৫৫ পয়েন্ট।
প্রো কাবাডি লিগের দ্বিতীয় মরসুমে বেঙ্গালুরু বুলস তারকা মনজিৎ চিল্লার পেয়েছেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড। তিনি ৬৭ ৬৭ রেড পয়েন্ট এবং ৪০ ট্যাকল পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন।
প্রো কাবাডি লিগের তৃতীয় আসরে পাটনা পাইরেটস তারকা রোহিত কুমার পেয়েছেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড। ১২ ম্যাচে ১০২ রেড পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি।
প্রো কাবাডি লিগের চতুর্থ মরসুমে পাটনা পাইরেটসের তারকা অভিজ্ঞ খেলোয়াড় প্রদীপ নারওয়াল সর্বাধিক খেলোয়াড়ের পুরষ্কার পেয়েছিলেন। ১৩৩ পয়েন্ট পেয়েছিলেন।
প্রো কাবাডি লিগের পঞ্চম আসরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মোস্ট ভ্যালুয়েবল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন পাটনা পাইরেটস তারকা প্রদীপ নারওয়াল। তিনি ৩৬৯ রেড পয়েন্ট অর্জন করেন।
প্রো কাবাডি লিগের ষষ্ঠ আসরে বেঙ্গালুরু বুলসের তারকা পবন শেহরাওয়াত পেয়েছেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল অ্যাওয়ার্ড। তিনি ২৭১ টি রেড এবং ১২ টি সুপার রেড পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন।
প্রো কাবাডি লিগের সপ্তম আসরে দাবাং দিল্লির হয়ে খেলা নবীন কুমরা জিতেছেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড। নবীন ২৩ ম্যাচে করেছেন ৩০৩ পয়েন্ট।
প্রো কাবাডি লিগের অষ্টম আসরে দাবাং দিল্লির হয়ে খেলা নাভিল কুমার আবারও মোস্ট ভ্যালুয়েবল সম্মানে ভূষিত হন। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা দু’বার এই পুরস্কার জিতেছেন নবীন। ৮ম আসরে ১৭ ম্যাচে ২০৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন তিনি।
প্রো কাবাডি লিগের নবম আসরে জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স তারকা অর্জুন দেশওয়াল পেয়েছেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল অ্যাওয়ার্ড। নবম মরসুমে মোট ২৯৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।