গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। যারফলে টানা দুইটি ম্যাচ জয়হীন হিসেবে শেষ করল ময়দানের এই প্রধান ফুটবল ক্লাব। গত ম্যাচে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে এগিয়ে থেকে ও আসেনি জয়। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মেরিনার্সদের। সেই হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হলনা এবার।
একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করার ফলে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হল উভয় দলকে। এই ম্যাচ অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ করার ফলে ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে কিছুটা এগিয়ে থাকল মোহনবাগান। কিন্তু টানা দুইটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় কিছুটা হলেও হতাশ সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। অপরদিকে, উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে চেন্নাইয়িন এফসিতে যোগদান করার পর এদিন প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল প্রীতম কোটাল। একটা সময় মোহনবাগানের জার্সিতেই দলকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন এই বাঙালি ফুটবলার।
কিন্তু পরবর্তীতে আর তাঁকে দলে রাখেনি ম্যানেজমেন্ট। শেষ পর্যন্ত চলে যেতে হয়েছিল কেরালায়। সেখান থেকেই এবার চেন্নাইয়িন এফসিতে। নিজের প্রাক্তন দলের বিপক্ষে জয় সুনিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এই বাঙালি ডিফেন্ডার। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “দলের জন্য নিজের অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। মোহনবাগান অনেক শক্তিশালী দল। যেকোনও মুহূর্তের মধ্যেই ম্যাচ ঘোরানোর মতো ফুটবলার রয়েছে। সেইভাবেই আমরা পরিকল্পনা করে খেলতে নেমেছিলাম। সেটা কিছুটা কাজে দিয়েছে।”
প্রীতম আরও বলেন, “মাত্র দুটো দিন হয়েছে চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে অনুশীলন করেছি। তারপরে ও কোচ আমার উপর ভরসা রেখেছে। এখন একটাই লক্ষ্য চেন্নাইয়িন এফসিকে একটা ভালো পজিশনে নিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি মোহনবাগানের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। লিগ যত এগোবে লড়াই কঠিন হবে। তবে আমার মনে হয়না মোহনবাগানের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে। তাঁদের সকলেই চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার। সেই মানসিকতা রয়েছে সকলের মধ্যে।”