শনিবার সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পরাজিত হয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। নির্ধারিত সূচি অনুসারে এদিন তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে। প্রথম লেগে তাঁদের বিরুদ্ধে সহজ জয় আসলেও এবার লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। বিশেষ করে চাপের মুখে পড়ে নিশু কুমারের আত্মঘাতী গোল হওয়ার পর থেকেই যথেষ্ট ব্যাকফুটে সরে যেতে থাকে মশাল ব্রিগেড। তারপর জর্ডান উইলমার গিল গোল পেতেই আত্মবিশ্বাস যেন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের। প্রথমার্ধের শেষে ঘরের মাঠে দুই গোলে পিছিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ঘন ঘন আক্রমণে উঠে গোল তুলে নিতে মরিয়া ছিল দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসরা। কিন্তু প্রতিপক্ষের জমাট বাঁধানোর ডিফেন্সে আটকে যেতে হয় বারংবার। তারপর শেষ লগ্নে এসে দক্ষিণের এই দলের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে যান ড্যানিয়েল চিমা চুকু। এই জয়ের ফলে আবার ও দশম স্থানে উঠে আসলো ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইয়িন এফসি। দলের এই জয়ের ফলে যথেষ্ট খুশি প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের জিততে হত। জিতেছি ভালো লাগছে। প্রথমেই আমাদের দুই গোল হয়ে যাওয়াটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল।”
পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মোহনবাগানের এই প্রাক্তনী বলেন, ” ওদের এখন খারাপ সময় যাচ্ছে। আগামী দিনে ভালো সময় ও আসবে। সব দলেরই খারাপ ভালো থাকে। এটা সময়ের উপর থাকে। সময়ের আগে কিছুই হয়না। এতগুলো ভালো খেলোয়াড় রয়েছে এই দলে। ইস্টবেঙ্গল যেকোনও সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আগামী মরসুমে আশাকরি ওরা ভালো করবে।” তাছাড়া মেসি বাউলি থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের মতো ফুটবলারদের বিপক্ষে লড়াই করে ম্যাচ যেতা যে খুব একটা সহজ নয় সেটা জানিয়ে গেলেন এই বাঙালি ফুটবলার।
পাশাপাশি তাঁর প্রাক্তন ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পারফরম্যান্স নিয়ে ও যথেষ্ট খুশি এই ডিফেন্ডার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখলে গতবারের মতো এবারও লিগ শিল্ড জয়ের থেকে মাত্র কয়েক পা দূরে রয়েছে সবুজ-মেরুন। তাই আগে থেকেই মোহনবাগান দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন এই তারকা।