FC Goa: বাগান ম্যাচের পূর্বে নয়া শক্তি যোগ গোয়ার দলে!

ফুটবল বিশ্বের অন্যতম নামী ক্লাব এফসি গোয়া (FC Goa), তারা যুব উন্নয়ন প্রক্রিয়ার একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ক্লাবের যুব দলের প্রতিটি স্তর পেরিয়ে, প্রথম…

FC Goa Triumphs Over Punjab FC 2-1 in ISL: Moves to 3rd Place

ফুটবল বিশ্বের অন্যতম নামী ক্লাব এফসি গোয়া (FC Goa), তারা যুব উন্নয়ন প্রক্রিয়ার একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ক্লাবের যুব দলের প্রতিটি স্তর পেরিয়ে, প্রথম দলে অভিষেক ঘটিয়েছেন প্রাচিত গাঁওকর (Prachit Gaonkar)। তিনি এখন এফসি গোয়ার ইতিহাসে প্রথম এমন খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত, যিনি অনূর্ধ্ব ১৩ থেকে শুরু করে, গোয়া ক্লাবের সিনিয়র দলে পৌঁছেছেন।

১৮ বছর বয়সী প্রাচিত গাঁওকর ২০১৮ সালে এফসি গোয়ার অনূর্ধ্ব ১৩ দলে যোগ দেন। এরপর ধীরে ধীরে নিজের স্কিলের উন্নতি ঘটিয়ে তিনি অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭, ১৯ এবং ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াডের মতো বিভিন্ন স্তরে খেলা চালিয়ে যান। এভাবে বছরগুলো কেটে যায় এবং অবশেষে চলতি মরসুমে সিনিয়র দলে স্থান পান তিনি। গত মঙ্গলবার, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে ৮০ মিনিটে মাঠে নেমে, নিজের প্রথম আইএসএল ম্যাচে অভিষেক ঘটে প্রাচিতের।

   

প্রাচিতের এই অভিষেক মুহূর্তটি শুধু তার জন্য নয়, বরং গোয়াদলের জন্যও গর্বের বিষয়। মাঠে তার উপস্থিতি শুধু তার খেলা নয়, ক্লাবের যুব উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সফলতার এক প্রমাণ। খেলার ৮০ মিনিটে মাঠে নেমে প্রাচিত তার প্রথম ম্যাচে ১০০% পাস অ্যাকিউরেসি নিয়ে এক দুর্দান্ত প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমে তিনি সবাইকে জানিয়ে দেন যে, তার ভবিষ্যত উজ্জ্বল।

প্রাচিত শুধু এফসি গোয়া নয়, ভারতীয় জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেও নজর কাড়েন। গোয়া প্রফেশনাল লিগ, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় তার পারফরম্যান্স তাকে শীর্ষ স্তরের ক্লাবের জন্য নির্বাচিত হতে সহায়ক হয়েছে। তার এসব অর্জন শুধু তাকে নয়, গোয়া রাজ্যের ক্রীড়া ক্ষেত্রের জন্য এক বড় প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

Advertisements

 

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

A post shared by FC Goa (@fcgoaofficial)

এই সম্পর্কে প্রাচিত গাঁওকর বলেন, “এটি আমার জন্য স্বপ্নের মতো এক মুহূর্ত। আমি ছোটবেলা থেকে ফসি গোয়ার রংয়ে খেলেছি, এবং আজ আইএসএল-এর প্রথম দলে খেলাটা, তাও আমাদের হোম গ্রাউন্ডে, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সামনে, আমি কখনই এই মুহূর্তটি ভুলব না। আমি আমার কোচ, সতীর্থ এবং ক্লাবের সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমার এই যাত্রায় আমাকে সহায়তা করেছেন। এটি আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে এবং দলকে আরও বেশি কিছু দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।”

প্রাচিত গাঁওকরের এই যাত্রা কেবল তার জন্য নয়, গোয়ার ফুটবল সম্প্রদায়ের জন্যও একটি বিশাল সাফল্য। তার এই অভিষেকের মাধ্যমে, এফসি গোয়া তার যুব উন্নয়ন প্রকল্পের সফলতার প্রমাণ দিল এবং সেই সঙ্গে ভারতের ফুটবল ভবিষ্যতেও তার প্রতিভার ছোঁয়া পাওয়া যাবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।