HomeWest BengalKolkata CityWorld Cup: ইডেন টিকিট কালোবাজারি রুখতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

World Cup: ইডেন টিকিট কালোবাজারি রুখতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

- Advertisement -

ইডেনে বিশ্বকাপ হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ভারত বনাম সাউথ আফ্রিকা। এসবের মাঝে দর্শকদের তীব্র হতাশা এবং বিরক্তি। টিকিট কেন নেই বা টিকিট কেন পাওয়া যাচ্ছে না এই প্রশ্ন তুলে সিএবি এর সামনে বিক্ষোভ দেখান বহু সমর্থক। প্রত্যেকেরই বক্তব্য সিএবি কেন অনলাইনে টিকিট দিচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে এত টিকিট কোথায় যাচ্ছে।

মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে যে টিকিট কাউন্টার রয়েছে যেখান থেকে টিকিট বিলি হচ্ছে সেই কাউন্টারের সামনে ব্ল্যাকাররা বহু টিকিট তুলে নিয়ে গিয়ে চড়া দামে টিকিট বিক্রি করছে। তাদের দাবি ৯০০ টাকার টিকিট ৮ হাজার টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। পুলিশ দিন দুয়েক আগে বহু টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে। যে অনলাইন সংস্থা টিকিট দিচ্ছে অনলাইনে সেখানে টিকিট পাচ্ছেন না প্রায় কোনো সমর্থকই। এই নিয়ে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সমর্থকরা। ইডেন গার্ডেন্সে খেলা দেখা নিয়ে হাহাকার তুঙ্গে।

   

এক সমর্থকের কথায়, আমরা অনেক দিনের লাইফ মেম্বার। সিএবি বিজ্ঞাপণ দেয় লাইফ মেম্বার কার্ডটি রিনিউ করার জন্য। বলা হয়েছিল ২০২২-২৩ টা রিনিউ না করালে অসুবিধা নেই। ২০২১-২২ এর টা লাইফ মেম্বারশিপ কার্ড রিনিউ করতে হবে। প্রত্যেক বার যেমন লাইফ মেম্বারশিপ কার্ড দেখিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাওয়া যায়, তেমনই পাওয়া যাবে। এখানে এসে জানছি একটা অনলাইন অ্যাপ টিকিট দিয়েছিল দুর্গা পূজার মধ্যে। দুর্গা পূজার মধ্যে একটা পেপারে ছোট্ট একটা জায়গা লিখেছিল সেটা কেউই দেখেনি। দুর্গা পূজার মধ্যেই ৫ মিনিটের জন্য একটা ওয়েবসাইট খোলা হয়েছিল সেটা কেউই দেখতে পায়নি। এখন বলছে যারা ওই অ্যাপটা খোলেনি তারা টিকিট পাবে না।

টিকিট নেই কারোর কাছে। একজন ১৬ বছরের লাইফ মেম্বার বলছেন, এখানে এসে জানতে পারছি অনলাইনে বুকিং না করলে হবে না। কাউন্টারে যেতে চাইলে দুশো লোকের পিছনে লাইন দিতে হবে। অন্য আরও এক লাইফ মেম্বারশিপ বলছেন, টিকিট পাইনি, ওরা বলছে অনলাইনে বুকিং করেননি তাই পাবেননা। আরও একজন বলছেন, ওই ওয়েবসাইটটা থেকে আমি নিজে রেজিস্ট্রেশন করছিলাম। পনেরো মিনিটের জন্য খুলেছে। ডিটেলস সাবমিট করলে ইরোর হয়ে যাচ্ছে। সদ্য মেম্বারশিপ বা পুরানো মেম্বারশিপ কেউই টিকিট পাননি। টিকিট না পেলে আদালতে যাবেন বলে দাবি তাদের। টিকিট জট কীভাবে কাটবে সেটাই এখন দেখার।

এ প্রসঙ্গে, সিএবির প্রাক্তন সচিব বলছেন, “দুর্ভাগ্যজনক মনে হচ্ছে এই কারণে সবাই মিলে সিএবিকে কোণঠাসা করছে। কলকাতায় যখন একটা ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ হয় তখন কলকাতা পুলিশ সব জানে তারাই গ্রিন সিগন্যাল দেয়। প্রত্যেক টিকিটে স্পোর্টস ডিপার্টমেন্টের স্ট্যাম্প থাকে অর্থাৎ স্পোর্টস ডিপার্টমেন্ট স্ট্যাম্প না করলে কোন টিকিট মানুষের হাতে পৌঁছাবে না। বুক মাই সো এটা যারা কন্ট্রোল করছে তারা বিসিসিআই এপয়েন্টমেন্ট লোক। তাহলে বিসিসিআই পুরো ব্যাপার সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। সিএবি-কে একা যারা দোষ দিচ্ছে আমি তাদের পক্ষে নই।”

১৭ হাজার মেম্বার রয়েছে সিএবির। তার মধ্যে ১১ হাজার এক্টিভ মেম্বার রয়েছেন। সেই ১১ হাজারের মধ্যে ৩ হাজার জন টিকিট পেয়েছেন। বাকি ৮ হাজার মেম্বার টিকিট পাননি।‌ ম্যাচের বাকি আর দুদিন। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছে সিএবি।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular