হার মানলে চলবে না। ময়দানে এই মন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। পরপর হারতে হারতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল পাঠচক্রের। সেখান থেকে ফাইট ব্যাক। গোল করে দলকে পয়েন্ট এনে দিয়েছেন সাহিল হরিজন (Sahil Harijan)। আগামী ম্যাচগুলোতে লড়াই দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এই তরুণ।
শনিবারের অনুশীলন শেষে কথা হল সাহিল হরিজনের সঙ্গে। কলকাতা ফুটবল লীগ ক্রম তালিকার তলানিতে থাকা একটি দলের হয় গোল, প্রথম পয়েন্ট অর্জন, চাপ সামলে নিজেকে মেলে ধরা কতটা কঠিন অভিজ্ঞরা সেটা জানেন। কোন মন্ত্রে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পাঠচক্র? সাহিল জানালেন, “একটাও ম্যাচে আমরা জিততে পারছিলাম না। প্রচুর সমালোচনা হচ্ছিল আমাদের নিয়ে। দলের সবাই আলোচনা করে ঠিক করেছিলাম যে করেই হোক এই পরিস্থিতিতে থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। দলের জন্য নিয়ে আসতে হবে পয়েন্ট।” ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে পয়েন্ট ছিনিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন সাহিলরা।
কোচ পরিবর্তনও একটা ফ্যাক্টর। ঘরের ছেলে লালকমল ভৌমিককে কোচ করে এনেছে দল। তিনি বাড়তি মোটিভেশন যুগিয়েছেন ছেলেদের। “লালদা আমাদের বলেছিল, তোরাই দলকে এতটা দূরে নিয়ে এসেছিস। আগামী দিনেও তোরাই এগিয়ে নিয়ে যাবি দলকে”, জানিয়েছেন সাহিল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাহিল হরিজন। তার পাশাপাশি ময়দানের মহড়া। “বাবা, মা পাশে আছে বলেই করতে পারছি”, বললেন হাবরার এই উঠতি ফুটবলার।
পরিবারে অভাব থাকলেও ছেলেকে সেটা বুঝতে দেননি সাহিলের বাবা, মা। অনূর্ধ্ব-১৩ এটিকে, অনূর্ধ্ব-১৪ বাংলা দল, ফের এটিকে এবং ক্রমে দ্বিতীয় ডিভিশনের আই লীগ হয়ে পাঠচক্র। বাবা, মা’র পাশাপাশি ” পল স্যার” এবং (সুরজিৎ দাস) নবাব ভট্টাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাহিল।